পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থানার ধলহারা গ্রাম পঞ্চায়েতের বামনআড়া গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে মদের দোকান চলে আসছে। মদ ব্যবসার জন্য এলাকার সুস্থ পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এলাকায় মদ্যপ বাড়ছে। দিনে-রাতে রাস্তায় বের হতে রীতিমতো ভয় পাচ্ছেন স্থানীয় মহিলারা। দিনের পর দিন প্রকাশ্যে রাস্তায় বসে মদ খেয়ে মাতালেরা মহিলাদের ইভটিজিং করে আসছে। এমনকি এলাকার পুরুষ মানুষেরাও মদে আসক্ত হয়ে পড়ছেন। এর জেরে বাড়ি বাড়ি অশান্তি হচ্ছে। এর প্রতিবাদে বামনআড়া গ্রামের স্ব-সহায়ক দলের মহিলারা গ্রামের মদ বিক্রেতাদের বাড়িতে অভিযান চালালেন। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল মদের ঠেক।
advertisement
আরও পড়ুনঃ লেপার্ড আগেই ছিল, এবার দেখা দিল ভাল্লুক! জোড়া আতঙ্কে কাঁটা মথুরা চা বাগান এলাকার বাসিন্দারা
ওই মহিলা দলকে নেতৃত্ব দেওয়া সোনালী পট্টনায়েক জানান, “গ্রামের মধ্যে রাস্তার পাশে মদের দোকান দিয়েছেন এক ব্যক্তি। রাস্তা দিয়ে মহিলাদের যাতায়াত করা একপ্রকার দূরহ হয়ে উঠেছিল। মদ্যপ অবস্থায় মহিলাদের ইভটিজিং, কটু কথা শুনতে হত। এই অবৈধ মদের ঠেকের জন্য বাড়িতে বাড়িতে অশান্তি শুরু হয়েছে। বিঘ্নিত হয়েছে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা। তাই আমরা ১০০ জন মহিলা মিলে মিটিং করে ঠিক করি এলাকায় অবৈধ মদ দোকানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হবে। আমরা অবৈধ মদের ঠেকের মালিককে ডেকে কথা বলতে যাই। কিন্তু উনি সেইসব না করে উল্টোপাল্টা গালিগালাজ শুরু করেন। তাই আমরা তালা-চাবি ভেঙে দোকানের ভিতর ঢুকে সমস্ত মদ নষ্ট করেছি। আমাদের দাবি, এলাকায় অবৈধ মদের ঠেক রাখা যাবে না।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অভিযোগ, সকাল থেকে গ্রামের মহিলারা ওই মদ ব্যবসায়ীর বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে তমলুক থানার পুলিশ। তাঁরা ওই মদ ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালায়। এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে বেশ কিছু মদ উদ্ধার করে। এরপর তমলুক থানার পুলিশ ওই গ্রাম থেকে এক মদ বিক্রেতাকে গ্রেফতার করে। এই অভিযানে পাশে থাকার জন্য এলাকার মহিলারা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।





