পাঁশকুড়ার কানাচি বৃন্দাবনচক গ্রাম। এই গ্রামে মূলত কুম্ভকার সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। যাদের প্রধান জীবিকা উপার্জন হয় মাটির তৈরি জিনিসপত্র থেকে। তবে এই গ্রামের কুম্ভকারেরা আর পাঁচটা কুম্ভকারের থেকে আলাদা জিনিস তৈরি করে। যেখানে দেখা যায় কুম্ভকারেরা মাটির তৈরি টব থেকে হাঁড়ি কলসি বানান। সেখানে এই গ্রামের কুম্ভকারদের প্রতিদিনের ব্যস্ততা চোখে পড়ে দুই বসানোর কাজে ব্যবহৃত মাটির তৈরি পাত্র তৈরি করতে। এটাই তাদের মূল জীবিকা। এই গ্রামের কুম্ভকারদের মাটির তৈরি দইয়ের পাত্র পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুর হাওড়া হুগলি সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় পাড়ি দেয়।
advertisement
আরও পড়ুন: এক জগন্নাথ মন্দির কপাল খুলে দিল এনবিএসটিসি-র! ৬ দিনের আয় শুনলে চোখ কপালে উঠবে, একমাসের সব সিট বুকড
এ বিষয়ে এই গ্রামের এক কুম্ভকার জানান, ‘এখানকার তৈরি মাটির দই-এর পাত্রের চাহিদা রয়েছে। সারা বছরই মাটির দইয়ের পাত্র তৈরির কাজ চলে। ছোট থেকে বড় নানা সাইজের দইয়ের পাত্র বানানো হয়। এই গ্রামের কুম্ভকারদের রুটি রোজকারের পথ এটাই। হাওড়া, হুগলি থেকে পাইকারেরা এসে মাটির দই-এর পাত্র নিয়ে যায়। শুধুমাত্র বর্ষাকালে এলেই দইয়ের পাত্র বানানোর কাজ কম হয়। বছরের অন্যান্য সময় মাটির দইয়ের পাত্র বানানোর ব্যস্ততা দেখা যায় এই গ্রামের কুম্ভকারদের বাড়িতে বাড়িতে।’
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্তমানে কানাচি বৃন্দাবনচক গ্রাম ঢুকলেই দেখা যায় সারিবদ্ধভাবে মাটির তৈরি দইয়ের পাত্র কাঁচা অবস্থায় রোদে শুকাতে দেওয়া রয়েছে। রোদে ঠিকঠাক শুকিয়ে নেওয়ার পর ভাটিতে ফেলে পোড়ানোর কাজ হয়। এই গ্রামের কুম্ভকারেরা সারা বছর মাটির দইয়ের পাত্র বানালেও বেশ কিছু কুম্ভকার দইয়ের পাত্র বানানোর পাশাপাশি, পুজো অর্চনায় প্রয়োজনীয় মাটির জিনিসপত্র বানায়।
সৈকত শী