দুর্গাপুজোর পাশাপাশি লক্ষ্মীপুজোতেও থিমের ছড়াছড়ি। প্রয়াত সঙ্গীত শিল্পী জুবিন গর্গকে শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর মৃত্যুর শহর ‘সিঙ্গাপুর সিটি’কেই থিম হিসাবে তুলে ধরল তমলুকের সাউতানচকের মিদ্যা পরিবার। আর সেই সিঙ্গাপুর সিটি দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড় জমে উঠেছে। শেষ ২৭ বছর ধরে তমলুকের মিদ্যা পরিবারের থিমের মণ্ডপ বানিয়ে মানুষকে তাক লাগিয়ে আসছেন। ২০০৮ সালে টাইটনিক জাহাজ থিম করে নজর কেড়েছিল। আর শেষ বছর ২ কোটি টাকার ১০০, ৫০০, ২০০০ টাকার নকল নোট দিয়ে মণ্ডপ বানিয়ে খুব ভাইরাল হয়েছিল। দর্শনার্থীদের সামাল দিতে রীতিমতো হিমসিম খেতে হয়েছিল তমলুক থানার পুলিশকে।
advertisement
আরও পড়ুন: টাকা না অন্যকিছু! কী কারণে বেসরকারি ফাইন্যান্স সংস্থার অফিসে হানা চোরের, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
মিদ্যা পরিবারের সদস্য কমল মিদ্যা জানান, “ছোট বয়স থেকে বাড়িতে থিমের মণ্ডপ করে লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন হত। সময়ে সঙ্গে সঙ্গে থিমের পরিবর্তন ও মানুষের ঢল দেখে নতুনত্ব কিছু করার চেষ্টা থাকে সব সময়। ২০২৪ সালে বছর নকল নোট দিয়ে দু’কোটি টাকার মণ্ডপ নির্মাণ করে বেশ সাড়া পড়েছিল। সম্প্রতি সঙ্গীত শিল্পী জুবীন গর্গ সিঙ্গাপুরে প্রয়াত হয়েছেন। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতেই সিঙ্গাপুর সিটি থিম হিসাবে নির্মাণ করা হয়েছে। পাঁচ দিন ধরে মানুষ মণ্ডপ দেখার সুযোগ পাবে। ভিড় নিয়ন্ত্রণ পুলিশের পাশাপাশি পর্যাপ্ত সেচ্ছাসেবক থাকবে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মিদ্যা পরিবারে মণ্ডপে এলে মনে হবে আপনি সিঙ্গাপুর শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যানবাহন থেকে রাস্তাঘাটের সমস্ত কিছুই মণ্ডপে তুলে ধরা হয়েছে। শেষ প্রায় এক মাস ধরে মণ্ডপ নির্মানের কাজ চলেছে। মণ্ডপ নির্মাণ থেকে মানুষ ভিড় জমাতে থাকে মিদ্যা পরিবারে। শেষ বছরের থেকেও এবারে আরও বেশি মানুষ মণ্ডপ ও প্রতিমা দর্শনে আসবে আশাবাদী মিদ্যা পরিবার। শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয়, পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন এই মণ্ডপ দেখতে। এ বছর থিম করা হয়েছে সিঙ্গাপুর শহর। মণ্ডপ থেকে প্রতিমা সবকিছুতেই সিঙ্গাপুরের স্থাপত্যশৈলী ও বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।