পরে জানা যায় অন্য ঘটনা। দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে বন্ধু। তাকে বাড়িতে পৌঁছে না দিয়ে গ্রামের রাস্তায় ফেলে পালাল আরেক বন্ধু! আর এই ঘটনায় অবাক সকলেই। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার অন্তর্গত পিতুলসাহা গ্রামে মৃতদেহকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। এলাকাবাসীরা এসে চিনতে পারেন যে পাশের গ্রামের যুবক শেখ শফিকুলের মৃতদেহ রাস্তার পাশে পড়ে রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বন্ধ বাড়িতে আচমকা দাউ দাউ করে আগুন! পুড়ে ছাই লক্ষাধিক টাকার জিনিসপত্র, কোথায় জানুন
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, শেখ গফুর আলীর বছর বাইশের ছেলে শফিকুল পেশায় গাড়ির হেল্পার। ইটভাটা থেকে বিভিন্ন জায়গায় ইট নিয়ে যাওয়া পিকআপ ভ্যানের হেল্পারের কাজ করতেন। এদিন ভোরে একটি পিকআপ ভ্যানে করে ভাটা থেকে ইট গাড়িতে করে নিয়ে ঘাটাল পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন, ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মারা যান। তারপর তার মৃতদেহ গ্রামের রাস্তায় ফেলে দিয়ে যায় ওই পিকআপ ভ্যানের চালক।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য অর্ধেন্দু শেখর মাইতি বলেন, ‘মৃত যুবকের নাম শেখ শফিকুল। পাশের ডুমরা গ্রামের বাসিন্দা। ইটভাটার পিকআপ ভ্যানের হেলপারি করত। এদিন ভোরে বন্ধুর পিক আপ ভ্যানে করে ইট নিয়ে ঘাটাল গিয়েছিল ফেরার পথে কোলাঘাট থানার দেউলিয়াতে দুর্ঘটনা ঘটে। পিকআপ ভ্যান থেকে কোনও ভাবে রাস্তায় পড়ে যায় শফিকুল। তারপর গ্রামের রাস্তায় ফেলে যায় ওই পিকআপ ভ্যানের চালক। কী কারণে গ্রামের রাস্তায় ফেলে গেল তা জানি না। তবে দুর্ঘটনায় অপরিচিত বা অপরিচিত কেউ পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত। কিন্তু এখানে পিকআপ ভ্যান চালকের আচরণ অন্য ঘটনা সকলকে অবাক করেছে।’
তমলুক থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত শফিকুলের দেহ গাড়িতে নিয়ে এসে পিতুলসাহা গ্রামের রাস্তার ধারে ফেলে রেখে চম্পট দেয় ওই চালক। ওই পিকআপ ভ্যানের চালক ও মৃত শফিউল একই গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় লোকেরা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়, বাড়ির লোকও খবর পেয়ে ছুটে আসে পিতুলসাহা গ্রামে। তমলুক থানার পুলিশ এসে মৃতদেহকে ময়নাতদন্তের জন্য তাম্রলিপ্ত গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়। তমলুক থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায় এই ঘটনায় মৃতের পরিবার থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ জমা হয়নি। তবে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তমলুক থানার পুলিশ।