সম্প্রতি নন্দীগ্রাম দু’নম্বর ব্লকের বয়াল এলাকায় বছর পাঁচেকের ছোট্ট ঈশান। বাড়ির পাশের দোকানে খাবার কিনতে গিয়েছিল, খাবার নিয়ে ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি রড বোঝাই টোটো ধাক্কা মারে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, টোটোতে থাকা রড ঈশানের মাথায ঢুকে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, অবস্থা বেগতিক দেখে ডাক্তারবাবুরা কলকাতায় স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। ঈশানের পরিবার খুবই দুঃস্থ হওয়ায় সবাই চিন্তায় পড়েন। কারণ কলকাতায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে যথেষ্ট খরচ রয়েছে, কোথায় পাবেন এত টাকা! তারই ব্যবস্থা করেছে পুলিশ।
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় সিভিক ভলান্টিয়ারদের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই খবর পৌঁছেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম থানার আইসি প্রসেনজিৎ দত্তের কাছে। খবর পৌঁছতেই আইসির তত্ত্বাবধানে নন্দীগ্রাম থানার সমস্ত আধিকারিকরা চাঁদা তুলে ওই পরিবারের হাতে তুলে দেন। ছোট্ট ঈশানের চিকিৎসা করানোর জন্য আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেন। এই বিষয়ে ঈশানের পরিবারের এক সদস্য জানান, “দুর্ঘটনায় মাথায় রড ঢুকে যায়। নন্দীগ্রামের হাসপাতালের ডাক্তার বাবুরা কলকাতায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার কথা বলে। কিন্তু অপারেশনের খরচ অনেক ছিল। থানার পুলিশ আধিকারিকদের মাধ্যমে সহায়তা পেয়েছি। আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি ভাল চিকিৎসার ব্যবস্থা থানার পুলিশের মাধ্যমে হয়েছে। ঈশানের অপারেশন হয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসা চলছে কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। থানা পুলিশের সহযোগিতায় সব কিছু দ্রুতই সম্ভব হয়েছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় লক্ষাধিক টাকা নন্দীগ্রাম থানা থেকে সহযোগিতা করা হয়েছে এবং ঈশানের অপারেশন দ্রুত হওয়ার জন্য পুলিশ থেকেই যোগাযোগ করা হয়। আপাতত কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশন হয়েছে অবস্থা স্থিতিশীল। আর্থিক এবং চিকিৎসায় সহযোগিতায় নন্দীগ্রাম থানা পুলিশের মানবিক রূপ ফুটে উঠেছে।





