ওষুধ খাওয়ার পর ওষুধের খোলা, খারাপ হওয়া কোন ল্যাম্প, কিংবা বিভিন্ন ধরনের ক্রীম যেমন ভেসলিন কিংবা বোরোলিন কৌটোগুলোকে কাজে লাগায় সে। সেগুলো দিয়েই কাঁচি দিয়ে কাটাকুটি করে কিংবা রং তুলি দিয়ে পড়াশোনার অবসর সময়ে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন তৈরি করে পূর্ব মেদিনীপুরের এই ছাত্রী। কোথাও কাগজের তৈরি তলোয়ার তৈরি করেছে, কিংবা কাগজ দিয়ে ছোট্ট হারমনি তৈরি করেছে, আবার ফেলে দেওয়া ল্যাম্প দিয়ে তৈরি করেছে ব্যাঙের ছাতা, ফেলে দেওয়া কাঁচের বোতলে রং তুলি দিয়ে ডিজাইন করে ছোট্ট ফুলদানি তৈরি করেছে সে, আর তাতেই যেন সে পারদর্শী হয়ে উঠেছে।
advertisement
কিন্তু সব থেকে অবাক করা বিষয় তাঁর বাড়িতে সমস্ত দেব-দেবীর ছবি থাকলেও নেই জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা দেবীর মূর্তি। সামনেই যে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা, মহিষাদলের রথ কিংবা তাঁর সঙ্গে নতুন সংযোজন দিঘার জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। প্রীতি নিজের বোন কিংবা প্রতিবেশী ছোট ছোট ভাইবোনদের নিয়ে নিজের গ্রামের সরল রাস্তায় রথ টানবে। কিন্তু জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা কোথায়! অকারণে পয়সা খরচ করে মূর্তি কিনতে যাবেই বা কেন! যখন সে নিজেই হাতের কারসাজির কারিগর। তাই প্রীতি নিজেই ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের ছোট কৌটো দিয়ে তুলির টানে ফুটিয়ে তুলেছে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তি। আর সেই মূর্তিই রথে চড়ে যাবে মাসির বাড়ি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তার এই হাতের কারুকাজ দেখে প্রতিবেশী ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাও আবদার ধরেছে তাদেরও বানিয়ে দিতে হবে এমন মূর্তি, তারাও তার হাতের তৈরি জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা দেবীর মূর্তি নিয়ে রথ টানবে। শুধু কি তাই অনেকেই ঘরের দেওয়াল সাজাতে বিভিন্ন ডিজাইন করতে ভালবাসেন বড় বড় শিল্পীদের দ্বারা, কিন্তু এই ছোট্ট প্রীতি নিজের হাতে তুলির টানে বাড়ির দেওয়ালে ফুটিয়ে তুলেছে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন। আর এভাবেই নিজের স্বপ্নকে আগামীদিনে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে পাঁশকুড়ার প্রীতি।
সৈকত শী