TRENDING:

East Medinipur News: জেলার এই মানুষটির কর্মকাণ্ড জানলে অবাক হবেন! ৫২ বছর বয়সি নকুলচন্দ্র ঘাঁটির গল্পে গায়ে কাঁটা দেবে!

Last Updated:

East Medinipur News: কুসংস্কারের অন্ধকার দূর করে যুক্তির আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন অবিরাম। সাপ সহ বন্যপ্রাণ রক্ষা, বিধবা বিবাহের প্রচার বিভিন্ন সামাজিক ও পরিবেশ সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত তিনি। তাঁর জীবনটা যেন সমাজের প্রতি এক নিরবচ্ছিন্ন অর্ঘ্য। 

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
হলদিয়া: সমাজে কিছু মানুষ আছেন যাঁদের কর্মকাণ্ড সমাজের কাছে উদাহরণ তৈরি করে। যাঁদের প্রচেষ্টা জ্ঞান ও যুক্তির আলো দিয়ে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। সেরকমই একজন হলেন নকুলচন্দ্র ঘাঁটি। পেশায় বেসরকারি সংস্থার কর্মী হলেও, কিন্তু নানা ধরনের সামাজিক কাজকর্মের মাধ্যমে সমাজ সংস্কারে ব্রতী হয়েছেন তিনি।
নকুলচন্দ্র ঘাঁটি
নকুলচন্দ্র ঘাঁটি
advertisement

একজন বহুমুখী সমাজকর্মী হিসেবে কুসংস্কারের অন্ধকার দূর করে যুক্তির আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন অবিরাম। সাপ-সহ বন্যপ্রাণ রক্ষা, বিধবা বিবাহের প্রচার বিভিন্ন সামাজিক ও পরিবেশ সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত তিনি। তাঁর জীবনটা যেন সমাজের প্রতি এক নিরবচ্ছিন্ন অর্ঘ্য।

আরও পড়ুন: চালের ড্রাম খুললেই বিড়বিড় করছে কালো কালো ‘পোকা’…? তুড়িতে তাড়ান! শিখে নিন ছোট্ট সহজ ‘টোটকা’!

advertisement

হলদিয়ার সুতাহাটা ব্লকের অনন্তপুর গ্রামের নিবাসী, ৫২ বছর বয়সি নকুলচন্দ্র ঘাঁটি। হলদিয়ার একটি বেসরকারি শিল্প সংস্থার কারখানা কর্মী তিনি। এর পাশাপাশি তিনি জেলায় ‘স্নেক ম্যান’ হিসাবেও পরিচিত। সাহস কৌশল ও প্রখর দৃষ্টি শক্তির মাধ্যমে এ পর্যন্ত এক হাজারেরও বেশি নানান ধরনের বিষধর সাপ উদ্ধার করে তুলে দিয়েছেন বন দফতরের হাতে।

advertisement

আরও পড়ুন: গুগলে কী ‘সার্চ’ করলে আপনার ‘জেল’ হতে পারে জানেন…? শুনলেই চমকাবেন ‘উত্তরে’!

তাঁর এই সাপ ধরা শুরু হয়েছিল ২০০৬ সালে যুক্তিবাদী মঞ্চের কুসংস্কার বিরোধী প্রচারে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন, সেখান থেকে তিনি সাপের প্রতি তাঁর ভালবাসা খুঁজে পান। আর সাপের প্রাণরক্ষার কাজ তাঁর নেশায় পরিণত হয় ওই বছর হলদিয়া মেলায় ‘সাপের ঘরে মানুষ’ প্রদর্শনী দেখার পর থেকে।

advertisement

১৯৮৬ সাল থেকে যুক্তিবাদী মঞ্চের একজন নিবেদিত প্রাণ সদস্য এবং কুসংস্কারের বিরুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রাম করে চলেছেন নকুলচন্দ্র। বিদ্যাসাগরের মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে তাঁর জীবনের এক উল্লেখযোগ্য অধ্যায় হল বিধবা বিবাহের প্রচলন ও বাস্তবায়ন। ২০২০ সালের নভেম্বরে এক দুর্ঘটনায় তিনি তাঁর একমাত্র পুত্রকে হারান।

আরও পড়ুন: ট্রেনের এসি কোচে চলছিল বিরাট খেলা…! ছড়ানো ছেটানো চাদর, বালিশ, ‘এসব কী হচ্ছে?’ TTE ‘দেখে’ ফেলতেই যা ঘটল, মুহূর্তে কেঁপে উঠল বুক!

advertisement

এই অপূরণীয় ক্ষতির পরও, তিনি শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে ২০২২ সালে নিজের পুত্রবধূর বিয়ে দেন। এরপর থেকে তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে আরও ১০ জন বিধবার বিবাহে সহায়তা করেছেন, এমনকি নিজের দুই ভাইপোর বিধবাদের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন। তাঁর লক্ষ্য হল জীবদ্দশায় অন্তত ২৫ জন বিধবার বিবাহের ব্যবস্থা করে যাওয়া।

সাপের প্রতি নকুলচন্দ্রের ভালবাসা এবং সাপের জীবন রক্ষার কাজে তাঁর অবদানও প্রশংসার দাবি রাখে। শেষ প্রায় কুড়ি বছরে তিনি দুই মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় এক হাজারেরও বেশি সাপের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। যার অধিকাংশই বিষধর। উদ্ধার করা ৮০ ভাগ সাপ তিনি বন দফতরের হাতে তুলে দিয়েছেন এবং বাকি ২০ শতাংশ নিজেই নিরাপদে ছেড়ে দিয়েছেন।

একসময় এই সব উপকূলীয় অঞ্চলে সাপের কামড়ে বহু মানুষের মৃত্যু ঘটত। তার ওপর ওঝাদের অপচিকিৎসা সেই ভয়াবহতাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নকুলচন্দ্র নির্ভয়ে প্রতিরোধের ডাক দেন। সাপ উদ্ধার সহ বন্যপ্রাণ রক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন তিনি।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
বিজয়াতেই ঘরে ঘরে 'টিকা'র প্রস্তুতি! গোর্খাদের এই উৎসব বাঙালির খুব চেনা
আরও দেখুন

সৈকত শী

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Medinipur News: জেলার এই মানুষটির কর্মকাণ্ড জানলে অবাক হবেন! ৫২ বছর বয়সি নকুলচন্দ্র ঘাঁটির গল্পে গায়ে কাঁটা দেবে!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল