বকেয়া প্রায় দু’কোটি টাকা। সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বেসরকারি বিভিন্ন নার্সিংহোমের হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া। দীর্ঘদিন ধরে তমলুক পৌরসভার রাজস্ব বাকি প্রায় দু’কোটি টাকা। বিষয়টি প্রথম নজরে আনেন তমলুক পৌরসভার শাসকদলের কাউন্সিলর পার্থ সারথি মাইতি। তমলুকের বিভিন্ন নার্সিংহোম থেকে শুরু করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং এর পাশাপাশি বিভিন্ন অফিস সরকারি দফতর ও বিভিন্ন ব্যাঙ্কের হোল্ডিং ট্যাক্স বাকি। যার পরিমাণ গিয়ে ঠেকেছে দু’কোটি টাকায়। ফলে সমস্যায় পড়েছে পৌরসভা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পুজোর আগে পেটে টান! বৃষ্টিতে ভিজছে মৃৎশিল্পীদের সারা বছরের রোজগার
পৌরসভার বকেয়া ট্যাক্স নিয়ে চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে হোল্ডিং ট্যাক্স বাকি রেখেছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা। পাশাপাশি সরকারি অফিস রয়েছে এরকম বাড়ির মালিকেরও হোল্ডিং ট্যাক্স বাকি রয়েছে। বারবার নোটিস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু উত্তর পাওয়া যায়নি। আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুনঃ ভিন রাজ্যে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে গাড়ি! সাংঘাতিক পরিণতি অভিজাত ব্যবসায়ী পরিবারের
এখন এই বকেয়া কবে পরিশোধ হয় সেটাই দেখার বিষয়। এই নিয়ে কটাক্ষ করেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। তাদের দাবি, যেহেতু তমলুকের একাধিক বেসরকারি নার্সিংহোমের মালিক শাসকদলেরই নেতা, কর্মীরা তাই তাঁরা ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার সাহস দেখাচ্ছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শাসকদলের কাউন্সিলর পার্থসারথি মাইতি এই ট্যাক্স বকেয়া নিয়ে সমাজমাধ্যমে প্রশ্ন তোলায় দলের নেতা-কর্মীর হুমকির মুখে পড়েছেন। ফলে সত্য বলে পাপ করেছেন মেনে নিয়ে কান ধরে তিনি ক্ষমাও চান। যদি বকেয়া পরিশোধ না করা হয় তাহলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুজোর পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।