প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মেয়েরা কতটা প্রতিভাবান, তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে তাদের পারফরম্যান্সে। আয়োজকরা জানান, এই প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য হল লুকিয়ে থাকা খেলোয়াড়দের সামনে নিয়ে আসা এবং তাদের উৎসাহিত করা।
আরও পড়ুন: দার্জিলিংয়ে দুর্গাপুজোয় আলাদা মাত্রা এনে দিলেন ‘ওঁরা’! ‘আগে কখনও দেখেনি’ বলছেন সবাই
এদিনের সবচেয়ে বেশি সাড়া ফেলে মেয়েদের কবাডি প্রতিযোগিতা। শক্তপোক্ত লড়াইয়ের শেষে ভূপতিনগর গার্লস চ্যাম্পিয়ন হয় এবং রানার্স হয় কন্টাই গার্লস। একই সঙ্গে ছিল হা-ডু-ডু প্রতিযোগিতা, যেখানে অংশ নেয় বিভিন্ন এলাকার প্রতিভাবান কিশোরীরা। এছাড়াও অনুষ্ঠিত হয় ২০০ মিটার দৌড়, ছেলে ও মেয়েদের লং জাম্প, আন্তঃবল ফুটবল প্রতিযোগিতা। ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয় চন্ডিপুর উত্তরণ স্টাডি সেন্টার এবং রানার্স হয় ভূপতিনগর বয়েজ একাদশ।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রতিটি খেলায় অংশগ্রহণকারী মেয়েদের উৎসাহ দিতে পরিবার-পরিজনেরা উপস্থিত ছিলেন। সব মিলিয়ে মোট ১৩৪ জন প্রতিযোগী অংশ নেয় এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতায়। পুরো উদ্যোগে সহযোগিতা করে কেন্দ্রের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রকের ‘মেরা যুবক ভারত কেন্দ্র’র পূর্ব মেদিনীপুর শাখা। খেজুরি বঙ্গভূমি ক্লাবের সম্পাদক শুভেন্দু কামীলা জানান, “বিভিন্ন প্রান্তে লুকিয়ে আছে মেয়েদের মধ্যে থাকা হাজারও প্রতিভা। কিন্তু আমরা সেই সব প্রতিভা গুলোকে খুঁজে পাই না। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে গ্রামের গঞ্জে লুকিয়ে থাকা প্রতিভাগুলোকে আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করি।” পুরস্কার বিতরণী সভায় উপস্থিত ছিলেন যুবভারত কেন্দ্রের আধিকারিক পাপাই দাস, ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন রেফারি ভাগ্যধর বেরা, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ অন্যান্যরা। তাদের বক্তৃতায় উঠে আসে নবীন প্রজন্মকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি নিয়মিত খেলাধুলায় যুক্ত থাকার বার্তা।





