আশ্রমের খুদে আবাসিকরাই এই সবজি চাষের মূল কারিগর। বীজ রোপণ থেকে শুরু করে নিয়মিত জল দেওয়া, আগাছা পরিষ্কার এবং পরিচর্যার সব কাজ তারা নিজেরাই করছে। প্রতিটি সবজি বাগানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট কয়েকজন আবাসিককে। কোন বাগান কার তত্ত্বাবধানে রয়েছে, তা বোঝানোর জন্য প্রতিটি বাগানের সামনে লাগান হয়েছে বোর্ড। সেই বোর্ডে স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত আবাসিকদের নাম। এর ফলে শিশুদের মধ্যে মালিকানাবোধ তৈরি হচ্ছে এবং তারা আরও যত্ন নিয়ে কাজ করছে।
advertisement
আরও পড়ুন: সোনাঝুরি হাটের আদলে অভিনব হাট হাওড়ায়! শীতের মরশুমে চলছে দারুণ বিকিকিনি, চলবে আর মাত্র কয়েকদিন
পূর্ব মেদিনীপুরের ওই আশ্রমের সম্পাদক বলরাম করণ বলেন, “এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিশুদের আত্মনির্ভরতার পাঠ শেখান হচ্ছে। আশ্রমে শিশুরা নিয়মিত পড়াশোনা করে। পাশাপাশি তারা ভোকেশনাল ট্রেনিং, নাচ-গান ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক শিক্ষাও গ্রহণ করে। এবার সেই শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কৃষিকাজ। একটি ছোট্ট বীজ থেকে কী ভাবে ধীরে ধীরে ফসল তৈরি হয়, তা হাতে-কলমে শেখান হচ্ছে। শিশুদের উৎসাহ বাড়ানোর জন্যই বাগানের সামনে দায়িত্বপ্রাপ্তদের নাম লেখা হয়েছে। এমনকি শিশুদের নিয়ে একটি মন্ত্রিসভাও গঠন করা হয়েছে। সেই মন্ত্রিসভার কৃষি মন্ত্রকের উদ্যোগেই এই সবজি চাষ শুরু হয়েছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আশ্রম ক্যাম্পাসে তৈরি করা হয়েছে ছোট ছোট সবজির বাগান। সেখানে চাষ করা হয়েছে আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালং শাক, ধনেপাতা-সহ নানা ধরনের শীতকালীন সবজি। এই সব সবজি আশ্রমের রান্নার কাজেই ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন শিশুদের পুষ্টিকর খাবারের জোগান নিশ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে তারা বুঝতে পারছে নিজের পরিশ্রমের মূল্য। নিজের হাতে ফলান সবজি যখন রান্নাঘরে পৌঁছচ্ছে, তখন শিশুদের চোখে-মুখে আলাদা আনন্দ দেখা যাচ্ছে।





