শ্যামলীর হাতে তৈরি হয় নানা ধরনের শাঁখা। সাধারণ শাঁখা থেকে শুরু করে ট্রেন্ডিং ডিজাইনের শাঁখা। সব ধরনের শাঁখা সে অনায়াসে বানাতে পারে । সোনার পালিশ দেওয়া শাঁখা কিংবা বিশেষ নকশার শাঁখা, মুহূর্তেই বানিয়ে ফেলে অসাধারণ সব ডিজাইন। ক্রেতার পছন্দ বুঝে কাজ করা তাঁর সবচেয়ে বড় দক্ষতা। নতুন ডিজাইন শেখার আগ্রহ তাঁর মধ্যে সব সময় থাকে। তাই বদলে যাওয়া বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিনি নিজেকেও বদলে নিয়েছেন। তাঁর তৈরি শাঁখা শুধু স্থানীয় বাজারেই নয়, আশপাশের এলাকাতেও বেশ জনপ্রিয়। বহু বিবাহিত নারী তাঁর কাছ থেকেই শাঁখা কিনতে পছন্দ করেন।
advertisement
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ২ ব্লকের অমর্ষি এলাকায় নিত্যদিনই শাঁখার পসরা সাজিয়ে বসেন শ্যামলী। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে তাঁর কাজ। কাঁচামাল আনা থেকে শুরু করে শাঁখা তৈরি এবং বিক্রি, সব দিকেই তিনি সমানভাবে পারদর্শী। সংসারের সমস্ত কাজ সামলে তিনি এই কাজ চালিয়ে যান। কোনও অভাব বা বাধ্যবাধকতা নয়, স্বামীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার ইচ্ছেই তাঁকে এই পথে এনেছে। এক সময় স্বামীর কাছ থেকেই তিনি শাঁখা বানান শিখেছিলেন। আজ তিনি নিজেই একজন দক্ষ শিল্পী।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শ্যামলী কুন্ডু চন্দ আজ শুধু একজন শাঁখা কারিগর নন, তিনি গ্রাম বাংলার নারীদের কাছে এক অনুপ্রেরণা। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, ইচ্ছে আর পরিশ্রম থাকলে নারীর পক্ষেও সবই সম্ভব। ঘরের গণ্ডি পেরিয়ে তিনি নিজের পরিচয় গড়ে তুলেছেন। পুরুষের সঙ্গে সমান তালে কাজ করে তিনি প্রমাণ করেছেন, গ্রাম বাংলার নারীরা কোনও অংশে কম নয়। শ্যামলীর সাফল্য নতুন প্রজন্মের মেয়েদের স্বপ্ন দেখতে শেখায়। তার মতো একইভাবে আরও অনেক নারী যদি এগিয়ে আসেন, তবে গ্রাম বাংলার ছবিটাই বদলে যাবে।





