ধর্মমঙ্গলের বর্ণিত লাউসেন রাজার রাজধানী ছিল ময়নাগড়। সর্ব ধর্মের আশ্রয়স্থল ময়নাগড়। প্রাচীন এই ময়নাগড়ের ভেতরে রয়েছে বর্তমান বাহুবলীন্দ্র রাজপরিবারের কুলদেবতা শ্যামসুন্দর জিউর মন্দির, ময়নাগড়ের উত্তর-পূর্ব দিকে রয়েছে লোকেশ্বর শিব মন্দির। এই মন্দিরের বর্তমান বয়স নির্ণয় করা সম্ভবপর নয়। বর্তমান যে মন্দিরটি রয়েছে তা পুনর্নির্মিত হয় ১৯০৯ সালে। পুনর্নির্মাণ করেন বর্তমান রাজবংশের পূর্বপুরুষ। এই মন্দিরের গায়ে টেরাকোটার কাজ রয়েছে। আটচালা রীতির মন্দির। মন্দিরের চারপাশে দালান রয়েছে। টেরাকোটার কাজ গুলি রয়েছে তা প্রাচীন মন্দির থেকে এই মন্দিরে বসানো হয়েছে। টেরাকোটা গুলির মধ্যে রয়েছে রণতরী অশ্বারোহী সৈন্য, চক্র, শ্রীকৃষ্ণের গোষ্ঠ বিহার প্রভৃতি।
advertisement
আরও পড়ুন -IPL 2022 Play Off: দুপুরের বৃষ্টি-র প্রভাব নেই, ইডেনে তুলে দেওয়া হল সম্পূর্ণ কভার
এই মন্দিরের ওপর বৈশিষ্ট্য হল মন্দিরে শিবলিঙ্গটি মাটির তলায় প্রবেশ। সাধারণ সময়ে এটি দেখা যায় না। তবে নদীতে জোয়ারের সময় শিবলিঙ্গট উপরে উঠে আসে। আবার ভাটার সময় মাটির তলায় প্রবেশ করে। কথিত আছে এই মন্দিরের সঙ্গে কাঁসাই নদীর সংযোগ রয়েছে। তাই কাঁসাই নদীতে জোয়ারের সময় জলস্তর বাড়লে শিবলিঙ্গ উপরে উঠে আসে। আবার কাঁসাই নদীতে ভাটায় জলস্তর কমলে শিবলিঙ্গ মাটির তলদেশে প্রবেশ করে। নদীতে বন্যা বা বর্ষাকালে জলস্তর বেশি হলে মন্দিরের চারপাশে জল উপচে পড়ে।
Saikat Shee