একজন সাংবাদিক বহু পরিশ্রম করে খবরের সত্যতা যাচাই করে খবর সংগ্রহ করে। সাংবাদিকদের সেই পরিশ্রমকে সম্মান জানিয়ে গড়ে উঠেছে এই মিউজিয়াম। সকালে সযত্নে গ্রহন করার পর পরেরদিন সকালে পৌঁছে যায় ডাস্টবিনে। এমন কি খবর কাগজ বিছিয়ে বসা, কাঁচ পরিষ্কার, বোতল পরিষ্কার, ঠোঙা, খাওয়ার টেবিলে বিছানো সহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু খবরের কাগজ কতটা অমূল্য, তা বোঝাতে খেজুরির এক গৃহ শিক্ষক বাড়িতেই তৈরি করেছেন খবরের কাগজের মিউজিয়াম। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরের বাসিন্দা মধুসূদন জানা। পেশা অন্য হলেও নেশা সংবাদপত্র সংগ্রহ করা। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সংবাদপত্র সংগ্রহে রয়েছে তার।
advertisement
আরও পড়ুন: হাতের নিখুঁত টেকনিকে তৈরি মচমচে হাতঝাড়া পিঠে, সঙ্গে মুরগির পাতলা ঝোল! রইল জিভে জল আনা রেসিপি
বাড়িতেই তৈরি করেছেন সংবাদপত্রের একটি মিউজিয়াম। বর্তমান প্রজন্মকে বোঝাচ্ছেন সংবাদপত্র কতটা গুরুত্বপূর্ণ দৈনন্দিন জীবনে। বলা যায় শিক্ষা সংস্কৃতির মেরুদণ্ড হল এই খবরের কাগজ। সেই মূল্যহীন কাগজের মধ্যে যে অমূল্য সম্পদ ভরা রয়েছে, সেই তথ্য গুলি তুলে ধরতে চেয়েছেন জনসমক্ষে। খবরের কাগজে যে সব তথ্য থাকে, তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ বোঝা যায় সংরক্ষণের মাধ্যমে। এই সংরক্ষণ নিয়ে একটি মিউজিয়াম তৈরি তৈরি করেছেন দীর্ঘ ১২ বছর ধরে। মিউজিয়ামের নাম “অমূল্য সম্পদে ভরা খবরের কাগজ”। এই মিউজিয়ামের মূল উদ্দেশ্য সংবাদের মূল্য, সাংবাদিকের মূল্য এবং সর্বোপরি খবর কাগজের মূল্য সমাজের কাছে বোঝানোর চেষ্টা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পত্র পত্রিকার ভিতরে কী অসীম ক্ষমতা সম্পন্ন তথ্যচিত্র লুকানো থাকে, তা তুলে ধরা হয়েছে মিউজিয়ামে। প্রায় ৭০ থেকে ৮০বছরের পুরনো খবর কাগজ সংগ্রহ করে তৈরি করা হয়েছে মিউজিয়ামটি। ১২১ রকমের পত্র পত্রিকা সংগ্রহ করা রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়। ১০ টি ভাষায় পত্র পত্রিকার ওপর তৈরি হয়েছে মিউজিয়ামটি। মিউজিয়ামে রয়েছে জওহরলাল নেহেরুর প্রথম পতকা, মহাত্মা গান্ধীর শেষ অনশন ও অসহযোগ আন্দোলনের বৈঠক, কলকাতাতে যেদিন প্রথম ট্রাম চলা, ১৯৫০ সালে প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবস সহ নানান গুরুত্বপূর্ণ দিনের ঘটনাবলীর সংবাদপত্র। মধুসূদন জানার মূল লক্ষ্য, বর্তমান সময়কে সংবাদপত্রের গুরুত্ব কতটা তা বোঝানো। তার জন্যই এই এই নিউজ পেপার মিউজিয়াম।





