শুক্রবার দুপুরে শঙ্করপুর মৎস্যবন্দর থেকে ‘ফুলমণি’ নামক একটি ট্রলারে করে সমুদ্রে রওনা দেন তাপস বর। শঙ্করপুর বন্দর থেকে প্রায় ১২ নটিক্যাল মাইল দূরে সমুদ্রে মাছ ধরার সময় হঠাৎ ট্রলারের মাছ ধরার জাল কোনওভাবে প্রপেলারে জড়িয়ে যায়। ট্রলারটি বন্ধ হয়ে পড়ে। ট্রলার সচল করতে প্রপেলারে জড়ানো জাল খুলতে সমুদ্রে নামেন তিনজন মৎস্যজীবী। জাল খোলার কাজ শেষ হলেও আচমকাই প্রবল ঢেউ ও স্রোতের তোড়ে তাপস বর সমুদ্রে তলিয়ে যান। বাকিরা কোনওমতে ট্রলারে উঠে এলেও তাপস আর উঠতে পারেননি। ঘটনার পর থেকেই খোঁজাখুঁজি শুরু হলেও তাঁর সন্ধান মেলেনি।
advertisement
ট্রলার মালিক মন্দারমণি কোস্টাল থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর খোঁজাখুঁজি শুরু করে পুলিশ। পুলিশের স্পিডবোট নিয়ে টানা কয়েকদিন ধরে সমুদ্রে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু চারদিন পেরিয়ে গেলেও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে সমুদ্রে ভাসতে থাকা একটি মৃতদেহ দেখতে পান এক মৎস্যজীবী। সঙ্গে সঙ্গে ট্রলার মালিককে জানানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ট্রলারের সহযোগিতায় মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহটি তাপস বরের বলেই শনাক্ত করেন। এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। মৃত তাপস বরের দিদি পূর্ণিমা বর বলেন, “গত শুক্রবার আমার ভাই ফুলমণি ট্রলারে মাছ ধরতে গিয়েছিল। তারপর থেকে নিখোঁজ ছিল। আজ শঙ্করপুর থেকে ওঁর মৃতদেহ উদ্ধার হল।” এই ঘটনায় গোটা পরিবার ভেঙে পড়েছে। এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মৎস্যজীবীর এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে স্তব্ধ পরিবার, প্রতিবেশীরা।






