তমলুকের পূর্বনুখা গ্রামের বাসিন্দা পার্বতী জানা। জন্মের পর থেকেই দু’হাত নেই। চিন্তায় ছিল পরিবার। ধীরে ধীরে বড় হয়ে ওঠে পার্বতী। একটু একটু করে শিখে নেন পা দিয়ে সমস্ত কাজ করা। শুধু দুই পায়ের জোরেই পার্বতী আজ অনেকের থেকে অনেকটা এগিয়ে।
পার্বতী জানান, ” জন্মের পর থেকে হাত ছাড়াই বড় হয়েছি। ছোটবেলা থেকেই বহু মানুষের গঞ্জনা শুনতে হয়েছে, অনেকেই বলত হাত ছাড়া বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু বাড়ির মা-কাকিমাদের দেখে পা দিয়ে কাজ করা শুরু করি। একটু একটু করে রপ্ত করি রোজের কাজগুলো। পা দিয়ে রুটি বানানো থেকে শুরু করে সেলাই মেশিন চালানো, বটিতে আনাজ কাটা-সহ দৈনন্দিন জীবনের সব কাজ করতে পারি। হাত ছাড়াই সাঁতার কাটতে শিখেছি। প্যারা অলিম্পিকসে স্বর্ণপদক পেয়েছি।”
advertisement
বর্তমানে পার্বতী থাকেন নিমতৌড়ি তমলুক উন্নয়ন সমিতিতে। সেখানে পাটের নানা ধরনের কাজ করছেন পার্বতী। পাশাপাশি বাগান পরিষ্কার-সহ মিউজিক্যাল ট্রুপের অক্টোপ্যাড বাজানোর মতো নানা কাজে পারদর্শী তিনি।





