মাছ-কাঁকড়া-চিংড়ি চাষে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে কর্মসন্ধানী নতুন যুবক যুবতীদেরও। শুধু প্রথাগত শিক্ষা বা পাঠ্যপুস্তকের মধ্যেই সীমিত না থেকে পড়়ুয়াদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কলেজ পড়ুয়াদের হাতে-কলমে পেশাগত অভিনব অন ফার্ম ফিশারী ট্রেনিং নন্দীগ্রামে। পাঁশকুড়া বনমালী কলেজের প্রাণীবিদ্যার শিক্ষার্থী স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারীরা ভবিষ্যতের কর্মজীবনের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে এই ধরণের প্রশিক্ষণ নিল। প্রায় ৪০ জন ছাত্র-ছাত্রীদের চারটি দলে ভাগ করে একেবারে ফিল্ডে নামিয়ে দেওয়া হয়। ছাত্রছাত্রীদের দল একদিকে যেমন মৎস্যজীবিদের নৌকায় নদী মাছ ধরার পদ্ধতি সহ অন্যন্য বিষয়ে হাতে কলমে অনুশীলন করে।
advertisement
আরও পড়ুন: পায়ে হেঁটে ভারত ভ্রমণ, দিনের পর দিন ছুটে চলেছেন অসমের যুবক! কারণ জানলে স্যালুট জানাবেন
মৎস্যজীবীদের সঙ্গে মৎস্য গ্রাম কেন্দেমারী, নাকচিড়া চর, কাঁটা খালি, গাংরা প্রভৃতি গ্রামের মাছের ভেড়িগুলিতে ঘুরে ঘুরে বাক্সে কাকঁড়া চাষ, ভেনামি চাষ, পুকুরে রঙিন মাছের চাষ সহ অভিনব মৎস্য উদ্যোগ বিষয়ে প্রাক্টিক্যাল অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম এক ব্লকের মৎস্য চাষ সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু জানান, ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার পর কর্মসংস্থান জরুরি। বর্তমান সময়ে মাছ চাষ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলেছে। এই ফিল্ড ভিজিট কাজের মাধ্যমে সরকারি ভাবে বৈজ্ঞানিকভাবে মৎস্যচাষ সম্প্রসারণের কাজটি ত্বরান্বিত হবে।
মাছ ধরা ও মাছ চাষ দুই কাজেরই সব খুঁটিনাটি শেখান হয় একেবারে মাঠে নিয়ে গিয়ে। নৌকোয় মৎস্য আরহণের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়ে পড়ুয়াদের আরও বেশি করে বোঝান হয় তাঁদের। মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে লুপ্তপ্রায় মাছ সংরক্ষণের দায়িত্বভার দেওয়া এবং তাদের অবগত করানো হয়। ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনার পাশাপাশি মাছ চাষের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান খুঁজে পাওয়া যাবে। প্রসঙ্গত নন্দীগ্রামের মাছ চাষ রাজ্য জুড়ে সাড়া ফেলেছে। বর্তমান প্রজন্মকে সেই নন্দীগ্রামের মাছ চাষ কর্মসংস্থানের দিশা দেখাচ্ছে।