এগরা পুরসভার ১৪টি ওয়ার্ড মিলিয়ে একাধিক শিশু শিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। অধিকাংশ শিশুশিক্ষা কেন্দ্রগুলি ছাত্রছাত্রীর অভাবে খুঁড়িয়ে চলছে। খাতায় কলমে কোথায় প্রথম শ্রেণী থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত ১৬ জন ছাত্রছাত্রী থাকলেও স্কুলে উপস্থিত হয় পাঁচ থেকে সাতজন। এগরা পুরসভার-২ নম্বর ওয়ার্ডে উলিপুর মেনকা শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষিকা ছিলেন কবিতা পঞ্চাধ্যায়ী। গত বছর ১৫ অক্টোবর অসুস্থতার কারণে ওই শিক্ষিকার মৃত্যু হয়। এক শিক্ষিকার মৃত্যুতে স্কুলে শিক্ষিকা কমে দাঁড়িয়েছিল দু’জন। ১৬ জন পড়ুয়ার জন্য দু’জন শিক্ষিকা ছিল। একজনের শূন্য পদে এলাকায় এক বিশেষভাবে সক্ষম মহিলাকে নিয়োগ করে এগরা পুরসভা। নতুন শিক্ষিকাকে আইন মেনে পুরসভা নিয়োগপত্র দিয়ে কাজে যুক্ত করে বলে দাবী করেছে।
advertisement
যদিও সেই নিয়োগ অস্বচ্ছতার সঙ্গে বেআইনিভাবে করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে মহকুমা শাসকের দফতরে অভিযোগ জানিয়েছেন দেবব্রত প্রহরাজ নামে একব্যক্তি। অভিযোগ পত্রে তিনি আরও দাবী করেছেন, কবিতা পঞ্চাধ্যায়ী মারা গেলেও পুরসভা তার নামের বরাদ্দ অর্থ তুলছেন। সেই অর্থ অন্য এক নবনিযুক্ত শিক্ষিকাকে দেওয়া হচ্ছে বলে। গত ১৯ অগাস্ট পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা মহকুমা শাসকের কাছে এই অভিযোগ জমা পড়েছে। প্রসঙ্গত, শিক্ষিকাদের নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পুরসভা তাদের বেতন প্রদান করে থাকেন। নিয়মিত না হলেও দু’মাস কখনও তিনমাস অন্তর এই বেতন দেওয়া হয় শিক্ষিকাদের। মৃত শিক্ষিক কবিতা পঞ্চাধ্যায়ীর মৃত্যু আগে কয়েক মাসের বেতন বকেয়া ছিল। বকেয়া প্রাপ্য সেই টাকা পুরসভা তাকে প্রদান করেছেন।মৃত্যুর শংসাপত্র সহ শিক্ষিকার যাবতীয় নথি পুরসভায় জমা রয়েছে। মৃত শিক্ষিকার নামে বেতন তুলে পুরসভা অন্য শিক্ষিকাকে পাইয়ে দেওয়ার ঘটনাটি অজানা স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সহ স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা পুরপ্রতিনিধির।
আরও পড়ুন: দোকানের ভিতর হিস-হিস শব্দ! উপরে তাকাতেই ‘তার’ দর্শন, দোকান ছেড়ে পগারপার মালিক
স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা আশালতা বাঙাল বলেন, ‘মৃত শিক্ষিকার নামে বেতন দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই’। এগরা পুরপ্রধান স্বপন নায়ক বলেন, ‘পুরসভা শিক্ষিকাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেতন প্রদান করেন। যে শিক্ষিকা মারা গেছেন তার বকেয়া টাকা দেওয়া হয়েছে। আর কোনও টাকা দেওয়া হয়নি। ভিত্তিহীন অসত্য অভিযোগ করা হয়েছে’। এগরা মহকুমা শাসক মনজিৎ কুমার যাদব বলেন, ‘মৃত শিক্ষিকার নামে বেতন তুলে অন্য শিক্ষিকাকে দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। সেই মর্মে তদন্ত শুরু হয়েছে’।