মণ্ডপের সাজসজ্জায় ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন আকারের মাটির হাঁড়ি, যা একদিকে পুরনো বাংলার ঐতিহ্য স্মরণ করায়, অন্যদিকে পরিবেশ বান্ধবতার বার্তা পৌঁছে দেয়। দর্শকরা মণ্ডপে প্রবেশ করে মাটির হাঁড়ি দিয়ে তৈরি আলংকারিক উপকরণ এবং প্রতিটি কোণঠাসা জায়গায় সাজান শিল্পকর্ম দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন। বিশেষভাবে ছোট ছোট মাটির হাঁড়ি এবং তাদের সাজান প্যাটার্ন দর্শকের চোখে আনন্দের সঙ্গে সঙ্গে ভাবনার উদ্রেকও ঘটাচ্ছে।
advertisement
পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা মিলন দুর্গোৎসব কমিটির উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে অনেক পুজোমণ্ডপ প্লাস্টিক, থার্মোকল এবং অন্যান্য কৃত্রিম উপকরণ দিয়ে তৈরি হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। সেই কারণেই এবারের পুজোতে তারা মাটির হাঁড়ি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মাটির হাঁড়ি দিয়ে মণ্ডপ তৈরি হওয়ায় এটি পুরোপুরি নিরাপদ এবং প্রাকৃতিক। দর্শকেরা শুধু মন্ডপের সৌন্দর্য নয়, বরং পরিবেশবান্ধব থিমের গুরুত্বও অনুভব করতে পারছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কমিটির উপদেষ্টা শঙ্কর ফেরার বেরা জানান, “আমরা চাই পুজো মণ্ডপ শুধুমাত্র আনন্দদায়ক নয়, দর্শকদের সচেতনতার ক্ষেত্রও হোক। মাটির হাঁড়ি ব্যবহার আমাদের ছোট্ট উদ্যোগ হলেও একটি বড় বার্তা পৌঁছে দিতে পারে—প্লাস্টিকের ব্যবহার কমান এবং পরিবেশ রক্ষা করা। দর্শকরা যখন মণ্ডপ দেখে মুগ্ধ হন, তখন সেই আনন্দের সঙ্গে পরিবেশ সচেতনতার বার্তাও তাদের মনে বসে যায়।”
এইভাবে, এগরা মিলন দুর্গোৎসব কমিটি পরিবেশ সচেতনতা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে একত্রিত করে এবারের পুজোকে আরও আনন্দদায়ক করে তুলেছে। দর্শকরা মণ্ডপের সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি একটি শিক্ষণীয় বার্তা গ্রহণ করছেন। মাটির হাঁড়ি দিয়ে তৈরি এই মণ্ডপ শুধুমাত্র দুর্গাপুজোর আনন্দই বাড়াচ্ছে না, বরং সমাজে পরিবেশ সচেতনতার প্রতিও গুরুত্ব আরোপ করছে।