হোটেল ম্যানেজারদের একাংশ জানিয়েছেন, গত বছর বর্ষবরণের সময় যে ভিড় হয়েছিল, এবার তা ছাপিয়ে যেতে পারে। সেই কারণে এবার আগাম বুকিং ছাড়া দিঘায় এসে হোটেল পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। অনেকের আশঙ্কা, বুকিং ছাড়া শেষ মুহূর্তে এসে পর্যটকদের সমুদ্র সৈকতেই রাত কাটাতে হতে পারে। বিশেষ করে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ এবং জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ঘর পাওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠতে পারে। তাই পর্যটকদের আগাম পরিকল্পনা করার পরামর্শ দিচ্ছেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। এখন থেকেই অনলাইন ও অফলাইন দুই মাধ্যমেই বুকিং দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ৩৫ টাকার লটারির টিকিটেই কোটিপতি! জ্যাকপট জয়ে ভাগ্যের চাকা ঘুরল পরের জায়গায় ভাঙা বাড়িতে থাকা গৃহবধূর
এবার দিঘার পর্যটন মানচিত্রে নতুন সংযোজন হয়েছে জগন্নাথ মন্দির। কয়েক মাস আগেই মহাসমারোহে উদ্বোধন হয়েছে এই মন্দিরের। তারপর থেকেই সেখানে ভক্তদের ঢল নেমেছে। দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, গত প্রায় সাত মাসে জগন্নাথ মন্দিরে ৯০ লক্ষেরও বেশি ভক্ত এসেছেন। বছর শেষ হওয়ার আগেই সেই সংখ্যা এক কোটি ছুঁয়ে ফেলতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। মন্দিরকেন্দ্রিক পর্যটনের জেরে দিঘায় ভিড় আরও বেড়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অতিরিক্ত ভিড়ের সুযোগ নিয়ে কালোবাজারির আশঙ্কাও মাথাচাড়া দিচ্ছে। পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তৎপর হয়েছে জেলা প্রশাসন এবং হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। কালোবাজারি রুখতে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানান হয়েছে, সুযোগ নিয়ে কেউ বাড়তি টাকা নিলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগ পেলেই দ্রুত তদন্ত করা হবে।





