স্থানীয়দের মুখে মুখে শোনা যায়, এই মন্দিরের ইতিহাস শুরু প্রায় ২০০ বছর আগে। তখনকার এগরা ছিল বালুকাময় নির্জন জঙ্গল, যেখানে মানুষের বসতি ছিল অল্পই। সেখানে এক সাধক মন্দির তৈরি করেন। পরে এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তি এগিয়ে এসে মন্দিরে নিয়মিত পুজো শুরু করেন। কিন্তু তার জীবনে চুরিবৃত্তির মত অসৎ কাজ ঢুকে পড়ায় মন্দিরের সুনাম কলঙ্কিত হয়। অবশেষে স্থানীয় বাসিন্দারা সিদ্ধান্ত নেন, মন্দিরের পুজো ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে এক নির্ভরযোগ্য পুরোহিতের হাতে। সেখান থেকেই শুরু হয় প্রকৃত ভক্তিভাব ও নিয়মের সঙ্গে শ্মশানকালীর আরাধনা।
advertisement
শুরুর দিকে এখানে ছিল মাত্র একটি কুঁড়েঘর, যার ভিতরে মায়ের প্রতিমা প্রতিষ্ঠিত ছিল। পুজোর দিনে জ্বলে উঠত প্রদীপ আর ধূপকাঠি, আর ভক্তদের সমাগমে আঙিনা ভরে যেত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়দের প্রচেষ্টা ও দানের ফলে প্রায় ৫০ বছর আগে কাঠামোটিকে কংক্রিটে পুনর্নির্মাণ করা হয়। বর্তমানের মন্দিরটি হলুদ-লাল রঙের সৌন্দর্যে, শিখরের অলংকরণে শান্তি ও পবিত্রতার ছাপ রেখে যায় দর্শনার্থীর মনে।
এগরার শ্মশানকালী মন্দির শুধু একটি পুজোস্থল নয়, এটি এক ইতিহাস, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস, ভক্তি এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বহন করে চলেছে।