মন্তেশ্বরে লোহার গ্রামে কিশোরী লক্ষ্মী ঘড়ুই। মোবাইল ফোন দেখা নিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। মধ্যস্থতা করতে আসেন মা। পড়াশোনা বন্ধ রেখে মোবাইল ফোনের জন্য ভাইয়ের সঙ্গে ঝগড়া করায় লক্ষ্মীকে বকাঝকা করেন তিনি। তার বাড়ির লোকের দাবি, এর পর অভিমানে সবার অলক্ষে বাড়িতে থাকা কীটনাশক পান করে ওই কিশোরী। এর পর সে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি পরিবারের অন্যান্য সদস্য জানতে পারে। তড়িঘড়ি তাকে চিকিত্সার জন্য মন্তেশ্বর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : ১ জন ছাত্র এবং ১ জন শিক্ষক, তবুও রোজ চলে এই প্রাথমিক স্কুল
প্রাথমিক চিকিত্সা পরেও স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে দেখে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিত্সক। মঙ্গলবার রাতে খানিকটা সুস্থ বোধ করায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে বাবা ছাড়িয়ে নিয়ে আসছিলেন নিজের মেয়েকে। কিন্তু রাস্তাতেই অসুস্থতা বোধ করায় ফের তাকে মন্তেশ্বর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিত্সক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন : অকাল গরমে উধাও শীত, কম ফলনে বাড়তে পারে আলুর দাম, আশঙ্কায় মধ্যবিত্ত
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষ্মী ঘড়ুই মন্তেশ্বর সতী কৃষ্ণ বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। মন্তেশ্বর থানার পুলিশ খবর পেয়ে মৃতদেহ থানায় নিয়ে যায়। এই ঘটনায় পরিবারে ও লোহার গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারে সদস্যরা বলছেন, " বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অনেকটাই সুস্থ হয়ে গিয়েছিল লক্ষ্মী। সে বিপদমুক্ত বলে মনে করেছিলাম আমরা। কিন্তু তারপর আবার সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। রাস্তাতেই যে তার এভাবে মৃত্যু হবে ভাবা যায়নি।"