পরিবার সূত্রে খবর, গত ৮ সেপ্টেম্বর মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে নেপালে চোখের চিকিৎসা করাতে যান সৈয়দ আরজাদ হোসেন। পর দিন অর্থাৎ ৯ সেপ্টেম্বর ডাক্তার দেখান তাঁরা। এরপরই নেপালের পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে উঠে। গণবিক্ষোভের রোষে ফুঁসে ওঠে পড়শি দেশ। পড়েছে সরকার। পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। Gen Z-দের ক্রোধের আগুনে জ্বলছে নেপাল। এই পরিস্থিতিতে মেয়েকে নিয়ে নেপালে কার্যত হোটেলবন্দি হয়ে পড়েন পূর্ব বর্ধমানের সরাইটিকর গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দবাবু। চিন্তা ও উৎকন্ঠায় ঘুম উড়ে যায় পরিবারের।
advertisement
এরপরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দারস্থ হন তিনি। হাতিয়ার করেন সামাজিক মাধ্যমকে। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কাতর আবেদন জানান, তিনি এবং তাঁর মেয়ে যেন সুষ্ঠভাবে দেশে ফিরতে পারেন। ভিডিও বার্তার মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ প্রতিদিনের মতোই প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন, পথে অপেক্ষায় ছিল যম! সাত সকালে জাতীয় সড়কে ভয়ঙ্কর কাণ্ড
এরপরই জেলা প্রশাসনের তরফে যোগাযোগ করা হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে। বৃহস্পতিবার সকালেই ভারতীয় সেনার তৎপরতায় বিহার-নেপাল সীমান্তের যোগবানী বর্ডার দিয়ে মেয়ে নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন আরজাদ হোসেন। খুশির হাওয়া পরিবারে।