পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস ধরে স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বাপের বাড়ি খণ্ডঘোষের কুমিরকোলাতে থাকতেন অতীশ মজুমদারের স্ত্রী । অতীশ তাঁর ১২ বছর বয়সি মেয়ে ও ৮ বছরের ছেলেকে নিয়ে নবগ্রাম কলোনিতে থাকতেন । পরিবারের দাবি, একাধিকবার স্ত্রীকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলেও স্ত্রী ফেরেননি ।
advertisement
আরও পড়ুন : অন্তরের ক্ষত গোপন করে হাসি ফোটান শিশুদের মুখে, কটনক্যান্ডি বিক্রেতার চোখের জলের খবর কে রাখে?
বুধবার ফের অতীশবাবুর পরিবারের কয়েক জন কুমিরকোলাতে স্ত্রীর কাছে যান বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য । কিন্তু অভিযোগ, স্বামীর মানসিক সমস্যা আছে, এই অপবাদ দিয়ে তাঁদের সকলকে ফিরিয়ে দেন অতীশ মজুমদারের স্ত্রী রূপা মজুমদার। এমনকি অতীশবাবুকে মানসিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করার কথাও বলেন রূপা ও তার পরিবারের লোকজন।
আরও পড়ুন : ১০ বছর পর কলকাতায় ফের পোলিও-র জীবাণু! বাচ্চার জন্য সতর্কতা নিতে জানুন চিকিৎসকের মত
অভিযোগ, এরপরই অভিমানে ৮ বছরের নাবালক পুত্রকে শ্বাসরোধ করে খুন করে নিজে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন অতীশ মজুমদার । বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বাবা ও নাবালক পুত্রের মৃতদেহ। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পাঠায় খন্ডঘোষ থানার পুলিশ।