স্থানীয়দের অভিযোগ, বনকর্মীদের খবর দেওয়া হলেও তাঁরা ঘটনাস্থলে এসে অবস্থার পর্যালোচনা করে ফিরে যান। এলাকায় পশুচিকিৎসকের অভাব থাকায় চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা সম্ভব হয়নি। সেই অসহায় পরিস্থিতিতেই ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগোচ্ছিল ওই পথসারমেয়টি। ঠিক এমন এক সময়ে, ভাতার থানার মুরাতিপুর গ্রামের বাসিন্দা পশুপ্রেমী আমির শেখের কাছে খবর পৌঁছয়।
advertisement
খবর পেয়েই এক মুহূর্ত দেরি না করে তিনি বাইকে চেপে প্রায় ৭০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে পৌঁছে যান অমরপুরে। পৌঁছে তিনি নিজের হাতে সারমেয়টির শরীর থেকে তিরটি বের করেন কিছু স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায়। তারপর দ্রুত তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেন। আমিরের এই মানবিক উদ্যোগে মুগ্ধ গোটা অমরপুর এলাকা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয়রা বলেন, “আমির না এলে হয়তো সেই অবলা প্রাণীটি বাঁচত না। ওর মতো মানুষই আজকের সমাজে দরকার।” আমির শেখ বলেন, “এই তির মারার কাজ মানুষই করেছে। ওরা তো অবলা প্রাণী, ওদের কারও ক্ষতি করার অধিকার আমাদের নেই। আমি সবাইকে অনুরোধ করব ওদের ভালোবাসুন, সাহায্য করুন। ওরা কষ্টে পড়লে দেখার কেউ থাকে না, তাই আমাদেরই সচেতন হতে হবে।”
আমির শেখের এই কাজ যেন আবারও প্রমাণ করল, মানবতা এখনও বেঁচে আছে। একজন মানুষের সহানুভূতি ও সাহস এক অবলা প্রাণীর জীবন বাঁচাতে পারে। আমির শেখের এই কাজ সত্যিই প্রশংসনীয়।






