গামছা বোনার খরচ তুলনামূলকভাবে কম হলেও মজুরি যথেষ্ট ভাল—যার ফলে তাঁতিরা যেমন লাভবান হচ্ছেন, তেমনই খুশি মহাজন ও ব্যবসায়ীরাও। পূর্ব বর্ধমানের তাঁতশিল্পী সুনিল বসাক বলেন, “এটাকে আসামের গামছা বলা হয়। এখন আমরা এই গামছার উপরেই নির্ভরশীল হয়ে আছি। ১ বছর ধরে এই কাজই করছি। আগে বুনতাম শাড়ি। ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা ডিউটি করলে ১০ থেকে ১২ টা গামছা বুনতে পারব, তার বেশি পারব না। এখানকার কিছু মহাজন আসামে যোগাযোগ করে অর্ডার নিয়ে তারপর আমাদের কাজ দেয়। আমাদের সুতো থেকে শুরু করে সব দিয়ে দেওয়া হয় এবং প্রতিটা গামছার জন্য ৩৫ টাকা মজুরি দেওয়া হয়।”
advertisement
আরও পড়ুন: খুচরো হোক বা পাইকারি! জলের দরে মূর্তি কেনার পারফেক্ট ঠিকানা, জেনে নিন এক্ষুনি
এই নতুন চাহিদার জেরে তাঁতিদের মধ্যে আবারও উৎসাহ ফিরেছে। কাজের চাপও আগের তুলনায় অনেকটা বেড়েছে। তাঁতশিল্প এখনও অনেক সমস্যার মুখোমুখি। ধাত্রীগ্রাম ও শ্রীরামপুরে তৈরি সরকারি তাঁত হাট, প্রশিক্ষণ শিবির, সরকারি অনুদান—সবই রয়েছে। তবুও শাড়ির বাজারে ধাক্কা খেয়ে এই শিল্প অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল। কিন্তু গামছার বাজার সেই শূন্যতা অনেকটাই পূরণ করছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই গামছাই যেন এখন নতুন আশার আলো হয়ে উঠেছে হাজার হাজার তাঁতশিল্পীর জীবনে। এককথায়, শাড়ির বদলে গামছাই হয়ে উঠেছে পূর্ব বর্ধমানের তাঁতশিল্পীদের নতুন রুটি-রুজির অবলম্বন। কঠিন সময়েও তাঁতিরা প্রমাণ করে দিয়েছেন, যদি ইচ্ছে থাকে, তবে বুনন শুধু কাপড়ের নয়—বুনে ফেলা যায় নতুন ভবিষ্যৎও।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী