এদিন বর্ধমান জেলা বনাধিকারিককে দেওয়া স্মারকলিপিতে অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, গত ১৪ নভেম্বর বর্ধমানের দেওয়ানদিঘী এলাকায় মান্তু মিস্ত্রি নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে সাপ ঢোকে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে বন দফতরে খবর পাঠান। কিন্তু প্রায় ৩-৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কেউ না আসায় তিনি সাপুড়ে সঞ্জিত মালকে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে হাজির হন সঞ্জিতবাবু এবং সাপটিকে উদ্ধার করেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বিস্ফোরণের পর নিরাপত্তার ঘেরাটোপ, কালনায় তল্লাশিতে নামল জিআরপি–আরপিএফ
এরপর সেখানে বন দফতরের লোকজন পৌঁছয়। সঞ্জিতবাবুর অভিযোগ, তাঁর ওপর চড়াও হন বন দফতরের কর্মী রবি দাস। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় এবং তাঁর জাতি তুলে গালিগালাজ করা হয়। কেন তিনি সাপ ধরেছেন তার কৈফিয়তও চাওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এই ঘটনায় গোটা সাপুড়ে সমাজ ক্ষোভে ফেটে পড়ে। এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার তাঁরা বন দফতরে বিক্ষোভ দেখান। অভিযুক্ত রবি দাসের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবির পাশাপাশি সাপুড়ে সমাজের বক্তব্য, এখন সাপ ধরা বা খেলা দেখানোর বিষয়টি অনেকটাই কমে গিয়েছে। তাই তাঁদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হোক।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পাশাপাশি সাপুড়ে সমাজের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ১৯৭২ সালের পর বন্যপ্রাণ আইন বলবত হওয়ার পর থেকে তাঁদের ওপর ক্রমাগত আক্রমণ নেমে আসছে। এই অবস্থায় তাঁদের সুস্থভাবে জীবনধারণ করা অসম্ভব হয়ে উঠছে। তাই এবার তাঁরা সরকারের কাছে বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি জানিয়েছেন। অপরদিকে, এদিন জেলা বনাধিকারিক না থাকায় রেঞ্জ অফিসার (বর্ধমান রেঞ্জ) জানিয়েছেন, সাপুড়েদের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। এই ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।






