বর্তমানে তিনজন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। যাঁরা আশেপাশের সরকারি স্কুল থেকেই এসেছেন। বিদ্যালয়টি প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক শ্রেণি পর্যন্ত পরিচালিত হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিন স্কুলটি পরিদর্শনে আসেন পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক আয়েশা রাণী এ।
আরও পড়ুনঃ এসটিবিএ-তে বিপুল শূন্যপদ! নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রেল, কীভাবে আবেদন করবেন জানুন
advertisement
তিনি বলেন, “খুব ভাল উদ্যোগ এটি। জেলার মধ্যে প্রথম ইংরেজি মাধ্যম স্কুল হয়েছিল মন্তেশ্বর ব্লকের কুসুমগ্রামে, সেখানে খুব ভাল সাড়া পেয়েছি। এবার কেতুগ্রামে দ্বিতীয় স্কুল গড়ে উঠল। পরবর্তী পর্যায়ে খণ্ডঘোষ ও মঙ্গলকোট ব্লকেও ইংরেজি মাধ্যম স্কুল তৈরি হবে।” জেলা শাসক জানান, স্কুলের পরিকাঠামো অত্যন্ত ভাল হয়েছে এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাকি কাজও দ্রুত সম্পূর্ণ করা হবে।
আরও পড়ুনঃ গয়না বড়ি তৈরির প্রতিযোগিতা, কার নকশা সেরা! মহিলাদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই রাজ্য জুড়ে সরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল গড়ে তোলা হচ্ছে, যাতে গ্রামীণ এলাকার ছাত্রছাত্রীরাও মানসম্মত ইংরেজি শিক্ষা পেতে পারে। বর্তমানে রাজ্যের ২৩টি ব্লকে এমন স্কুল চালু হয়েছে। কেতুগ্রামের গোপালপুরে নতুন এই স্কুলের জমি দিয়েছে গোপালপুর ললিতা সুন্দরি গার্লস স্কুল। পরিচালন সমিতির সভাপতি সুকান্ত রায়চৌধুরী বলেন, “কেতুগ্রামের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় ইংরেজি মাধ্যম স্কুল তৈরি হওয়া সত্যিই গর্বের। এতে অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তিনতলা বিশিষ্ট ভবনে মোট ১৮টি শ্রেণিকক্ষ নির্মিত হয়েছে। কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনেওয়াজ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই, এমন এক গ্রামীণ এলাকায় সরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল গড়ে তোলার জন্য। এটা আমাদের গর্ব। এখন এখানকার ছেলে-মেয়েরাও মানসম্মত ইংরেজি শিক্ষা পাবে, এর চেয়ে বড় আনন্দ আর কিছু হতে পারে না।”
বর্তমানে কাটোয়া মহকুমায় পাঁচটি ব্লক ও দুটি পুরসভা মিলিয়ে মোট ১৩১টি উচ্চমাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। এর মধ্যে কাটোয়া–১ ব্লকে ১৭টি, কাটোয়া–২ ব্লকে ২১টি, মঙ্গলকোটে ৩৬টি, কেতুগ্রাম–১ ব্লকে ২৪টি, কেতুগ্রাম–২ ব্লকে ২১টি, কাটোয়া পুরসভা এলাকায় ৮টি এবং দাঁইহাট পুরসভায় ৪টি স্কুল রয়েছে। তবে সরকারি উদ্যোগে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল এই প্রথম কেতুগ্রামেই তৈরি হল। ফলে অভিভাবকদের মধ্যে যেমন উচ্ছ্বাস, তেমনি সরকারি এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শিক্ষা মহলও।






