TRENDING:

East Bardhaman News: একটা সাইকেল...আর দই বড়া! মেয়েকে একা হাতে মানুষ করে দেখিয়ে দিচ্ছেন সুনীতা

Last Updated:

শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে এক মেয়েকে নিয়ে ছাড়তে হয়েছিল সংসারও কিন্তু হার মানেন নি তিনি।নিজের স্বপ্ন ভাঙলেও মেয়েকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাই লড়াই করে চলেছেন দাঁতে দাঁত চেপে।দগ্ধ সংসার জীবন থেকে তিনি হয়ে উঠেছেন ফিনিক্স।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বর্ধমান, সায়নী সরকার: বিজ্ঞানে স্নাতক, চেয়েছিলেন আরও পড়াশোনা করতে৷ কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে তা আর হয়ে ওঠেনি। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে এক মেয়েকে নিয়ে ছাড়তে হয়েছিল সংসার৷ কিন্তু এতকিছুর পরও হার মানেননি তিনি। নিজের স্বপ্ন ভাঙলেও মেয়েকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান৷ তাই লড়াই করে চলেছেন দাঁতে দাঁত চেপে। আজ অভাবী সংসারের হাল ধরতে বর্ধমানে রাস্তার ধারে সাইকেল নিয়ে বিক্রি করছেন দই বড়া। আজকের নারী সমাজের অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন বর্ধমানে সুনীতা চৌধুরী।
advertisement

বর্ধমান শহরের বাজেপ্রতাপুর এলাকার বাসিন্দা সুনীতা চৌধুরী৷ ২০০০ সালে বর্ধমান ওমেন্স কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ইচ্ছা ছিল, স্নাতকোত্তর করার৷ কিন্তু গ্র্যাজুয়েশনেরই তাঁর বিয়ে দিয়ে দেয় বাড়িরলোক। পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ডে বিয়ে হয় তাঁর৷ কিন্তু বিয়ের কিছু বছর পরেই ঘটে ছন্দপতন, শুরু হয় অত্যাচার। এমনকি, তাঁর এক মেয়েকে ভালভাবে দেখাশোনা করল অবহেলা করা হত তার ছোট মেয়েকে।

advertisement

আরও পড়ুন: যুবনেতা ওসমান হাদির সমাধিতে শ্রদ্ধা তারেক রহমানের! তারপরেই নির্বাচন কমিশনের অফিসে

তাই অবশেষে ১৭ বছর পর ছোট মেয়েকে নিয়ে সংসার ছেড়ে ঝাড়খণ্ড থেকে ফিরে আসেন বর্ধমানে। ততদিনে মারা গেছেন মা-বাবা৷ তাই প্রথমে ছোট মেয়েকে ওঠেন দিদির বাড়িতে,সেখানেই ছিলেন তিন মাস। কিন্তু নিজে কিছু করব এই আশায় নিজেই দই বড়া তৈরি করে সাইকেল নিয়ে শুরু করেন ব্যবসা।

advertisement

মাইলের পর মাইলের সাইকেল চালিয়ে শুরু করেন দই বড়া বিক্রি। প্রথম প্রথম সেভাবে বিক্রি না হলেও ধীরে ধীরে বেড়েছে ব্যবসা। এখন সন্ধ্যা হলেই টাউন হলে সামনে ভিড় জমে সুনীতা দির দই বড়ার দোকানে,প্রায় অনেকের কাছেই পরিচিত মুখ তিনি।

আরও পড়ুন: ছুটকো ছুটিতে দিঘা! স্পেশাল ট্রেন…প্রত্যেক শনি আর রবিবার, কখন ছাড়বে আর কখন পৌঁছবে? এখন চলবে আরও বেশি দিন

advertisement

বর্তমানে দইবড়ার পাশাপাশি ডায়াবেটিক পেশেন্টদের কথা চিন্তা করে শুরু করেছেন মুগ ডালের ইডলি বিক্রি। সুনীতা বলেন, ‘‘ইচ্ছে ছিল আরও পড়াশোনা করার কিন্তু বিয়ে হয়ে যায়। শ্বশুরবাড়িতে গিয়েও সুখে সংসার করার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় কিছুদিন যেতে না যেতেই শুরু হয় সাংসারিক অশান্তি। দিনে দিনে বাড়তে থাকে অত্যাচারের মাত্রা। এই পরিস্থিতি চলে ১৭ বছর ৷ শেষপর্যন্ত ছোট মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বর্ধমানে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিই ৷ শুরু করি মেয়েকে নিয়ে বেঁচে থাকার নতুন লড়াই।’’ তিনি চান, মেয়ে যাতে মানুষের মত মানুষ হয়, সমাজের কোন কাজে লাগে৷

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ক্যানিংয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এক পথকুকুর! একের পর এক শতাধিক মানুষকে কামড়
আরও দেখুন

শূন্য থেকে শুরু করে আজ তিনি স্বাবলম্বী। দগ্ধ অতীতকে পিছনে ফেলে বর্তমান জুড়ে এখন শুধু তাঁর ছোট মেয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।যে পড়াশোনা তিনি নিজে শেষ করতে পারেননি, সেই অপূর্ণ স্বপ্নকেই এখন মেয়ের চোখের তারায় দেখতে পান তিনি। আর শুধু পড়াশোনাই নয়, চান মেয়ে যাতে হয় মানুষের মত মানুষ, কাজে লাগতে পারে সমাজের।

Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Bardhaman News: একটা সাইকেল...আর দই বড়া! মেয়েকে একা হাতে মানুষ করে দেখিয়ে দিচ্ছেন সুনীতা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল