মন্ত্রীর সঙ্গে এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবী সুব্রত রায়সহ বিশিষ্টজনেরা। হাসপাতালে হাজির হয়ে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, আগে দাইমা সন্তান প্রসব করাতেন। কিন্তু এখন সবাই হাসপাতালমুখী হন। সেখানেই সুরক্ষিতভাবে সন্তান প্রসব করেন। আর সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রসূতিরা অনেক সুযোগ সুবিধা পান। বিনা খরচে হাসপাতালে চিকিৎসা হয়।
advertisement
কিন্তু এবার সদ্যজাতদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করে বাড়ি ফেরার পথে তাদের জন্য একটি মেহেগনি চারা দেওয়া হচ্ছে। কারণ সন্তানের সঙ্গে এই গাছও একদিন বড় হয়ে উঠবে। ছেলেমেয়েরা বিবাহ উপযুক্ত হলে বা কর্মজীবন শুরু করলে এই গাছ তাদের সাহায্য করবে। অর্থের প্রয়োজনে এই গাছ বিক্রি করা যাবে কোনওরকম সমস্যা ছাড়া। আর মেহেগনি গাছের বাজারে যা দাম, তাতে বিক্রির সময় হাতে মোটা টাকা আসবে বলেই বিশেষজ্ঞদের মত।
কারণ পরবর্তীতে এই গাছ কাটতে হলে বন দফতরের কাছে থেকে আলাদা করে কোনওরকম অনুমতি নিতে হবে না। গাছের সঙ্গে যে সবুজশ্রী সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে, তাতেই কাজ হবে। ফলে সন্তানের সঙ্গে গাছটির লালনপালন করতে পারলে একদিকে যেমন পরিবেশ রক্ষা করা যাবে, তেমনভাবে প্রয়োজনের সময় অর্থের জোগান দেবে। অন্যদিকে সমাজসেবী সুব্রত রায় জানান, ২০০ জন নবজাতকের জন্য তিনি গরম জামার ব্যবস্থা করেছেন। ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ আরও করতে চান তিনি।
