গুড় কি সুগার ফ্রি হয়? তবে যদি এই গুড় সুগার ফ্রি না হয়, তাহলে বিক্রেতা সেটাকে কেনই বা সুগার ফ্রি বলে দাবি করেছেন। চলুন তাহলে এই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
ইতিমধ্যেই বাতাসে শীতের আমেজ। ক্রমেই নিম্নমুখী উষ্ণতার পারদ। খাদ্য প্রিয় মানুষদের কাছে শীতকাল যেন এক আদর্শ সময়। আর এই সময় যে খাবারের দিকে অনেকই তাকিয়ে থাকেন তা হল খেজুর গুড়। পিঠে পুলি থেকে পায়েস বা অন্যান্য সুস্বাদু খাবার, নলেন গুড় যেন কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় এর স্বাদ।
advertisement
তবে এবার পাওয়া যাচ্ছে সুগার ফ্রি নলেন গুড়! পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরে এই শীতের মরশুমে দেদার বিক্রি হচ্ছে সুগার ফ্রী খেজুর গুড়। কাটোয়ার অশোক রায়ের খেঁজুর গুড়ের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে এই গুড়। কিন্তু গুড় কি সত্যিই সুগার ফ্রী হয় ?
এই প্রসঙ্গে দোকানের কর্ণধার অশোক রায় বলেন, “সুগারের রোগী-সহ অনেকেই খাঁটি গুড় খেতে চান। সে কারণে একদম চিনি ছাড়া এই সুগার ফ্রি গুড় তৈরি করা হচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই গুড় যাচ্ছে। ভাল চাহিদা রয়েছে বর্তমানে।”
আসলে এই গুড় তৈরির সময় একটুও চিনি মেশানো হয় না বলেই মত দোকানের কর্ণধারের। আর সে কারণেই এই গুড়কে সুগার ফ্রী, অর্থাৎ চিনি বিহীন গুড়ের আখ্যা দেওয়া হচ্ছে।
গুড় কিনতে এসে বিশ্বজিৎ দাস নামের এক ক্রেতা বলেন, “চিনি মেশানো হচ্ছে না, একদম সুগার ফ্রি খেঁজুর গুড় এটা। আর স্বাদ খুবই ভাল, আমি প্রতি বছর গুড় কিনি।”
প্রতি কেজি ৪০০ টাকা হিসেবে এই গুড় পাওয়া যাচ্ছে। দৈনিক সকালে দোকানের সামনেই টাটকা রস দিয়ে এই গুড় তৈরি হচ্ছে।
এছাড়া সুগার ফ্রি গুড় পার্সেল এর ব্যবস্থাও রয়েছে। অনলাইন মাধ্যমে অর্ডার করলে বাড়িতে বসেই নেওয়া যাবে সুগার ফ্রি গুড়ের স্বাদ।
দোকানের কর্ণধার অশোক রায় এর কথায়, সুগারের রোগীরাও এই গুড় অল্প স্বল্প খেতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তাঁদের বিশেষ কোনও অসুবিধা হবেনা। সকাল হলেই ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন দোকানে। কিনে নিয়ে যাচ্ছেন সুগার ফ্রি নলেন গুড়।
তবে এখানে শুধু সুগার ফ্রি গুড় নয়, এছাড়াও বিভিন্ন দামের গুড় এবং পাটালিও পাওয়া যাচ্ছে। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম জেলার গুড়ও পাওয়া যাচ্ছে এখানে। তবে খাদ্যরসিক বাঙালি এখন প্রেমে পড়েছেন সুগার ফ্রি নলেন গুড়ের।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী