আবার যারা যুক্ত ছিলেন, তারা সরে গিয়েছেন এই পেশা থেকে। পাড়ার প্রায় চল্লিশটি পরিবারের মধ্যে এখন বর্তমানে একটি পরিবার শুধু যুক্ত এই শিল্পের সঙ্গে। তবুও বদলায় নি পাড়ার নাম। পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান ২ ব্লকের ছোট্ট গ্রাম নান্দুর। একটা সময়ে বর্ধমান সদর এলাকার তাঁতশিল্পের জন্য পরিচিত ছিল এই গ্রাম। গ্রামের গোটা একটি পাড়া যুক্ত ছিল এই তাঁত শিল্পের সঙ্গে। তাই পাড়ার নাম তাঁতীপাড়া।
advertisement
সেখানেই এখনও পাড়ার নাম সেই ঐতিহ্য বুকে নিয়ে বেঁচে আছে। অথচ সেই শিল্প আজ প্রায় নীরব। তাঁত শিল্পী ধনঞ্জয় গুঁই বলেন, আমি প্রায় ৫০ বছর ধরে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত আছি। আগে প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি পরিবার এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। কিন্তু বর্তমানে আর কেউ এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছেন না। কমেছে আগের মত রোজগার।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তিনি আরও বলেন, পাওয়ার লুম শাড়ী বাজার কেড়েছে হ্যান্ডলুম শাড়ির।আগে সারাদিন খাওয়া ঘুম ফেলে ধনিয়াখালি শাড়ি তৈরি করতে হত। কিন্তু এখন কাজ অনেক কম। তাই কয়েক বছর শাড়ি ছেড়ে খাদির জামার ছিট তৈরির কাজ করছি। আজ পাড়ার বাতাস আর সেই সৃষ্টির ছন্দময় ‘ঠক ঠক’ আওয়াজ শোনা না গেলেও, পাড়ার নামটি এখনও যেন বহন করে চলেছে সোনালী অতীত। পাড়ার নামের গভীরে আজও লুকিয়ে আছে সেই হারানো গৌরব, সেই শত শত শিল্পীর শ্রম আর স্বপ্ন।





