জাতীয় গণিত দিবস উপলক্ষে সুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এই গণিত মডেল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। কাটোয়া মহকুমার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। সকাল থেকেই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছিল ছাত্রছাত্রীদের ব্যস্ততা, উচ্ছ্বাস ও কৌতূহল। হাতে তৈরি রঙিন মডেল নিয়ে একে একে হাজির হয় খুদে পড়ুয়ারা।
advertisement
প্রদর্শনীতে দেখা যায়, পড়ুয়ারা গণিতের কঠিন বিষয়গুলোকে সহজ ও আকর্ষণীয় করে তুলতে নানা ধরনের মডেল তৈরি করেছে। বৃত্তের বিভিন্ন অঙ্ক, ভগ্নাংশের ধারণা, কোণের প্রকারভেদ, দশমিক সংখ্যার গুণফল নির্ণয়, ম্যাথ স্কোয়ার, যোগের মডেল সহ আরও বহু গণিতভিত্তিক বিষয়কে তাঁরা বাস্তব রূপ দিয়ে তুলে ধরেছে। কাগজ, থার্মোকল, কাঠ, রং ও বিভিন্ন সহজ উপকরণ ব্যবহার করে তৈরি এই মডেলগুলি দেখে মুগ্ধ হন শিক্ষক ও অভিভাবকরাও।
সুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবাশীষ দে বলেন, “গণিতকে পড়ুয়াদের কাছে অনেকটা সহজ করার জন্যই এই আয়োজন। আগামী দিনেও এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।” আয়োজকদের কথায়, পড়ুয়াদের কাছে গণিতকে আরও সহজ, আনন্দদায়ক ও ভয়মুক্ত করে তুলতেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন। বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ না রেখে হাতেকলমে শেখার মাধ্যমে গণিতের প্রতি আগ্রহ বাড়ানোই ছিল এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।
এই প্রতিযোগিতায় উপস্থিত হয়ে কাটোয়া পশ্চিম চক্রের স্কুল পরিদর্শক ফ্যান্সি মুখার্জী বলেন, “এই মডেলগুলোকে টিচার লার্নিং মেটেরিয়াল বলা হয়। এইগুলো আমাদের শিক্ষকরা ব্যবহার করে বিভিন্ন স্কুলে পড়ুয়াদের খুবই সহজ ভাবে শিক্ষাদান করেন। আজ সেই মডেল পড়ুয়ারা তৈরি করেছে। এইভাবে পড়াশোনা করলে পড়াটা আরও সহজ হবে। গণিতের ক্ষেত্রেও তাঁরা ভাল ভাবে শিখতে পারবে। আগামীদিনে আরও বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের আয়োজন করা হবে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই ধরনের গণিত মডেল প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পড়ুয়াদের চিন্তাভাবনা, সৃজনশীলতা এবং বিষয় বোঝার ক্ষমতা যেমন বাড়ে, তেমনই আত্মবিশ্বাসও তৈরি হয় বলে মনে করছেন শিক্ষকমহল। জাতীয় গণিত দিবসে সুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এই ব্যতিক্রমী আয়োজন নিঃসন্দেহে পড়ুয়াদের কাছে গণিত শেখার এক নতুন অভিজ্ঞতা হয়ে রইল।





