পূর্ব বর্ধমানের কাঞ্চননগর ডিএন দাস হাইস্কুল। অন্যান্য বিদ্যালয়ের থেকে একটু ভিন্নভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে এই বিদ্যালয়কে। প্রতিটি কোনায় কোনায় যেন হাতে-কলমে নানান পাঠ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে। বিদ্যালয়ের মধ্যেই একটি গাছে রয়েছে পাখিরালয়। যেখানে আসে নানান প্রজাতির পাখি। এবার তৈরি করা হল রান্নাঘর সংলগ্ন পুষ্টি বাগান। এই বাগানে রোপণ করা হয়েছে বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালং শাক, নটে শাক, ধনে পাতা, ছোটপেঁয়াজ, টোম্যাটো, লঙ্কা, সিম ও বিনস-এর চারা। মিড ডে মিলের এই কিচেন গার্ডেনকে পুষ্টি বাগান তৈরির দায়িত্ব নিয়েছে বর্ধমানের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
advertisement
আরও পড়ুন: পাচারকারীদের ‘সর্বনাশ’, জলদাপাড়ায় আরও কঠোর হবে নজরদারি! আসছে নতুন ড্রোন
এখানে প্রায় ১২ রকমের শাক সবজির গাছ লাগানো হয়েছে। যাতে কোনরকম কীটনাশক ছাড়াই পড়ুয়ারা সঠিক পুষ্টিকর খাদ্য পেতে পারে, তার জন্য এই পদক্ষেপ। ১২রকম সবজির উপকারিতা ফেস্টুনের মধ্যে ছবি সহ বাগানের খাঁচায় ঝোলানো হয়েছে। যাতে ছাত্রছাত্রীর পাশাপাশি অভিভাবক, অভিভাবিকারাও কমিউনিটি পুষ্টিবাগানের গুরুত্ব বুঝতে পারে। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন খাবারের মান বৃদ্ধি পাবে, তেমনই অন্যদিকে পুষ্টি সম্পর্কে হাতে-কলমে শিক্ষা পাবে শিক্ষার্থীরা। সুষম আহারের গুরুত্ব ও সতেজ খাদ্যের উপকারিতা নিয়ে তাদের সচেতন করাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড: সুভাষচন্দ্র দত্ত বলেন, এই বাগান গড়ে তুলতে কোন কীটনাশক দেওয়া হয়নি, তার পরিবর্তে বাগান তৈরির এক সপ্তাহ আগে জীবাণুনাশ করতে ব্যবহার করা হয়েছে গোবর ও সরষের খোল। এতে কোনরকম রাসায়নিক সার ছাড়াই টাটকা সবজি পাবে পড়ুয়ার। আর স্কুলে এই ধরনের পরিবেশের কারণে পড়ুয়ারা পঠন পাঠানোও বেশি আগ্রহী হবে। বই-খাতা আর ক্লাসরুমের বাইরেও পুষ্টি বাগান, পাখিরালয় থেকেও প্রকৃতি ও পরিবেশ সম্পর্কে নানান পাঠ পাচ্ছে পড়ুয়ারা। পুঁথিগত বিদ্যার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে পঠন-পাঠনকে জীবনমুখী ও প্রকৃতি-সংযুক্ত করেছে এই বিদ্যালয়।





