প্রতিটি ওয়াল হ্যাঙ্গিং তৈরি করতে সময় লাগছে তিন থেকে চার মাস। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪০টি ওয়াল হ্যাঙ্গিং বোনা হয়েছে, অর্ডার সম্পূর্ণ হতে সময় লাগবে প্রায় দেড় বছর। তাঁতশিল্পী তথা ব্যবসায়ী রাঘবেন্দ্র সুন্দর দাস বলেন, এই অর্ডারটা পাওয়ার জন্য আমরা বিপুল উপকৃত হয়েছি। মোটা টাকার অর্ডার। স্থানীয় তাঁতশিল্পীরা কাজ পাচ্ছেন। তাঁতিদের ছাড়া এই কাজ অসম্ভব। তাঁদের হাতের শিল্প বিদেশে পাড়ি দেবে, এতে আমরা খুশি।
advertisement
নতুন করে প্রাণ পাচ্ছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের ঘোড়ানাশ গ্রামের তাঁতশিল্প
প্রতিটি জামদানি ওয়াল হ্যাঙ্গিং তৈরিতে ৩০০ কাউন্ট খাদির মসলিন সুতো ব্যবহার করা হচ্ছে।
একসময় ঘোড়ানাশ ও মুস্থলী গ্রামের বহু তাঁতি পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে অন্য রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন। এখনও অনেকেই ভিনরাজ্যে কাজ করেন। কিন্তু প্রবাসী বাঙালিদের এই অর্ডার প্রমাণ করে দিল, গ্রামেই আছে সম্ভাবনা। গ্রামের তাঁতশিল্পী লাল্টু দত্ত বলেন, ” খুব পরিশ্রম হচ্ছে, কিন্তু তাও আমরা খুব খুশি। রাঘবেন্দ্র দাদার মাধ্যমে এই কাজ পেয়েছি এবং পুজোর আগে আমাদেরও বেশ কিছু টাকা উপার্জন হবে। আমাদের তৈরি জিনিস বিদেশ যাবে, এটা ভেবেই খুব ভাল লাগছে।”
নিউ জার্সির প্রবাসী বাঙালিদের কাছ থেকে এসেছে কোটি টাকার অর্ডার। তৈরি হবে ১৫০ পিস জামদানি ওয়াল হ্যাঙ্গিং
একসময় বাংলার ঐতিহ্য জামদানি হারিয়ে যেতে বসেছিল। কিন্তু এখন আবারও বিশ্ববাজারে তার চাহিদা আকাশছোঁয়া। কাটোয়ার তাঁতশিল্পীরা দিন রাত এক করে এখন ব্যস্ত ওয়াল হ্যাঙ্গিং তৈরিতে।