কাটোয়া বন দফতরের রেঞ্জার শিবপ্রসাদ সিনহা বলেন, “আমরা খবর পাওয়ার পর বিভিন্ন এলাকায় নৌকা নিয়ে তল্লাশি চালিয়েছি। কিন্তু কোনও মৃত ডলফিনের দেহ পাইনি। ভাগীরথীর স্রোতে সেটি ভেসে অন্যত্র চলে যেতে পারে। ফলে এটি কোথাকার ডলফিন, কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবুও আমরা তল্লাশি চালাচ্ছি।”
আরও পড়ুনঃ আইআইটি খড়গপুরের মুকুটে ফের নয়া পালক! তিন অধ্যাপক পেলেন বিশেষ সম্মান, জানলে গর্বে বুক ফুলবে
advertisement
তিনি আরও জানান, বন দফতর নিয়মিত গাঙ্গেয় ডলফিন সংরক্ষণ ও সচেতনতা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’বছরের তুলনায় ২০২৫ সালে কাটোয়ার ভাগীরথীতে গাঙ্গেয় ডলফিনের মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে কমেছে। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত মাত্র দু’টি ডলফিনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। যেখানে ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ৮টি।
উল্লেখ্য, কাটোয়ার ভাগীরথীতে কল্যাণপুর থেকে পাটুলি পর্যন্ত প্রায় ৩২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গাঙ্গেয় ডলফিনের বিচরণ ক্ষেত্র রয়েছে। কয়েক বছর আগে কাটোয়ার শাঁখাই ঘাটে রাজ্য বন দফতরের উদ্যোগে গড়ে তোলা হয় গাঙ্গেয় ডলফিন সংরক্ষণ কেন্দ্র। ডলফিন নিয়ে নিয়মিত গবেষণাও চালানো হচ্ছে। তবুও সম্পূর্ণভাবে ডলফিনের মৃত্যু ঠেকানো যাচ্ছে না।
বন দফতর ও পরিবেশবিদদের হিসেব অনুযায়ী, এই এলাকায় বর্তমানে প্রায় ৩২-৩৫টির বেশি গাঙ্গেয় ডলফিন রয়েছে। যদিও পরিবেশ কর্মীদের একাংশের দাবি, ভাগীরথীর কয়েকটি জোনে ডলফিনের উপস্থিতি ইকোলজির দিক থেকে এখনও সন্তোষজনক নয়। পরিবেশ কর্মীরা জানান, নদীর জলজ জীব বৈচিত্র্যের ভারসাম্য বজায় রাখতে হলে ভাগীরথীকে দূষণমুক্ত রাখা জরুরি। পাশাপাশি গাঙ্গেয় ডলফিনের বাসযোগ্য পরিবেশ গড়ে তুলতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এদিকে অগ্রদ্বীপ এলাকার একাধিক মৎস্যজীবী দাবি করেছেন, দিন কয়েক আগে একটি ডলফিনের মৃতদেহ নদীতে ভেসে যেতে দেখা গিয়েছে। কয়েকজন সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ছবিও তুলেছেন। ডলফিন নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা পরিবেশ কর্মী গনেশ চৌধুরী বলেন, “আমি নিজে মৃত ডলফিনের দেহ ভেসে যেতে দেখে ছবি তুলেছিলাম। এই বিষয়ে বন দফতরকেও জানিয়েছিলাম।” মৎস্যজীবী ও পরিবেশ কর্মীদের এই দাবির পরেও মৃত ডলফিন উদ্ধার না হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে ভাগীরথীতে গাঙ্গেয় ডলফিনের নিরাপত্তা ও নজরদারি ব্যবস্থা আদৌ কতটা কার্যকর?






