এই অবস্থায় পঞ্চায়েতের উদ্যোগে এলাকার একটি দোকানে অস্থায়ীভাবে সপ্তাহে দু’দিন মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার চিকিৎসা পরিষেবা চালু রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রের মহিলা হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অন্বেষা পাল বললেন, “পুরানো সাব-সেন্টারের রুমে জল জমে রয়েছে। সেই কারণে পঞ্চায়েত থেকে এখানে একটা ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। এখানে অসুবিধা তো হয়ই, কোনও ওয়েটিং রুম নেই সবাইকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আমাদেরও বসার ঠিকঠাক জায়গা নেই।”
advertisement
আরও পড়ুনঃ চুরি আটকে দেওয়ায় তীব্র আক্রোশ! পিকআপ ভ্যান দিয়ে দুই যুবককে পিষে মারার চেষ্টা, তারপর যা হল…
এই স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র মূলত সদ্যোজাত শিশুদের টিকাকরণ, মায়েদের চিকিৎসা ও প্রাথমিক চিকিৎসা পরামর্শ দেওয়ার জন্য পরিচিত। কিন্তু অস্থায়ী দোকানঘরে চিকিৎসা চলায় তৈরি হয়েছে একাধিক সমস্যা। নেই রোগীদের বসার সঠিক জায়গা, খোলা আকাশের নীচে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে সদ্যোজাত শিশু ও তাদের মায়েদের। বর্ষার সময় বৃষ্টিতে পরিস্থিতি আরও দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। চিকিৎসা নিতে আসা বহু রোগীকেই পড়তে হচ্ছে নানা অসুবিধার মুখে।
আরও পড়ুনঃ ভাসছে ‘পাট ক্ষেত – ফুলের মাঠ’, তলিয়ে যাচ্ছে স্বপ্ন! কী করবে এখন মানুষ?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা বলেন, “ওখানে জল জমে আছে বলেই এই দোকানে আসতে হচ্ছে। অসুবিধা তো হচ্ছে কিন্তু কী করব! একটা বসার জায়গা নেই, যাঁরা বাচ্চা নিয়ে এসেছে তাদের আরও বেশি কষ্ট।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
যদিও এই স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রের পাশেই বাঁধমুড়া এলাকায় একটি নতুন স্বাস্থ্যকেন্দ্র খোলা হয়েছে। কিন্তু অনেকেই সেখানে যেতে নারাজ। তাই বাধ্য হয়েই এই অস্থায়ী দোকানেই পরিষেবা চালু রাখা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ সালাউদ্দিন বলেন, “ওই পুরানো সাব-সেন্টার সংস্কার করার প্রয়োজন রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষ চাইছেন যেন এই স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রটিকে নতুন ভাবে সংস্কার করা হয় এবং সেখান থেকেই সকলকে পরিষেবা প্রদান করা হয়।”