শিল্পীদের কথায় বেশ কয়েক বছর আগেও চরম ব্যস্ততায় দিন কাটত তাদের। অর্ডার সামাল দিতে রীতিমত হিমশিম খেতে হত শিল্পীদের। সবথেকে বেশি চাহিদা থাকতডোকরার গয়নার। দূর দূরান্ত থেকে বিভিন্ন গয়না তৈরির জন্য অর্ডার আসতশিল্পীদের কাছে। এক একজন শিল্পী বেশ ভাল টাকার অর্ডার পেতেন। তবে এখন ছবিটা অনেকটা পাল্টে গিয়েছে। কিন্তু কি কারণে এহেন পরিবর্তন ?
advertisement
এই প্রসঙ্গে শিল্পী তথা সেক্রেটারি শুভ কর্মকার জানিয়েছে, \”লকডাউনের পর থেকেই ডোকরার জিনিসের চাহিদা সহ ডোকরার গয়নার চাহিদা একদম কমে গিয়েছে। এখন অক্সিডাইজ মেটালের বিভিন্ন গয়নাও পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। অক্সিডাইজ মেটাল এর তৈরি জিনিসের দাম অনেক কম এবং ডোকরার আদলে সেই জিনিস তৈরি হচ্ছে। সে কারণেও আমাদের ডোকরার তৈরি জিনিসের চাহিদা কমতে পারে।”
আরও পড়ুন: ১ কোটি টাকার মূল্য ‘৩০ বছর’ পর কত হবে বলুন তো…? চমকে দেবে সঠিক ‘উত্তর’, গ্যারান্টি!
ডোকরার জিনিসে পালিশের প্রশিক্ষণ নেওয়ার বিষয়ে প্রশাসনকে একাধিকবার জানানো হলেও, আজও কোনও সুরাহা পাননি শিল্পীরা। সবমিলিয়ে পূর্ব বর্ধমানের শিল্প মানচিত্রে উজ্জ্বল এই গ্রামের শিল্পীদের এখন মন ভার। চেনা সেই ব্যস্ততা না থাকায়, নিজেদের প্রাচীন এই শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তার রেখা তাদের কপালে। লকডাউনের প্রভাব যেন এখনও রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের এই গ্রামে। তবে এই শীতের মরশুমে শুরু হবে একাধিক মেলা। সেই মেলাতে ডাক আসবে শিল্পীদের। এবং মেলাতে ডোকরার জিনিস বিক্রি করে কিছুটা আয় করতে পারবেন বলে আশাবাদী শিল্পীরা। মেলাতে ডাক আসার অপেক্ষায় একাধিক শিল্পী।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী