পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০ নভেম্বর বর্ধমান শহরের বড় নীলপুর কানাইনাটশাল এলাকায় থাকা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম ভেঙে ২১ লক্ষ ৬১ হাজার ৮০০ টাকা লুট করে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। সেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএমের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকা সংস্থার এক কর্মীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে নামে বর্ধমান থানার পুলিশ। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে পুলিশের পক্ষ থেকে টাওয়ার ডাম্পিং পদ্ধতিরও সাহায্য নেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ নামের পদবী ভুল থাকায় আতঙ্ক! এসআইআর-ভয়ে নিজেকে শেষ করে দিলেন ৭৫ বছরের বৃদ্ধ, দাবি পরিবারের
সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ একটি চারচাকা গাড়ির হদিস পায়। সেই অনুযায়ী তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন তদন্তকারী অফিসার। এই তদন্ত চলাকালীন মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলার তালুকা পুলিশ স্টেশন থেকে তদন্তকারী অফিসারকে একটি মেইল করা হয়। ইমেইল মারফত জানান হয়, একই ধরনের অপরাধের জন্য গত ৬ ডিসেম্বর তালুকা থানার পুলিশ হাসমাদিন ওরফে হাসামদিন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে।
জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি বর্ধমানের এটিএম ভেঙে লুটপাটের ঘটনায় যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং তাঁর কাছ থেকে সিসিটিভি ফুটেজে পাওয়া চারচাকা গাড়ির একটি নম্বর প্লেট উদ্ধার করা হয়েছে, তবে সেই নম্বর প্লেটটি জাল। গাড়িতে জাল নম্বর ব্যবহার করে অপরাধীরা অপরাধ সংঘটিত করতে এসেছিল, এটি নিশ্চিত হওয়ার পরেই অভিযুক্ত হাসমাদিন ওরফে হাসামদিন-কে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে সাতারা কোর্টের দ্বারস্থ হন তদন্তকারী অফিসার। আদালতের নির্দেশে সাতারা জেলা সংশোধনাগার থেকে ১২ তারিখ তাঁকে গ্রেফতার করা হয় এবং গ্রেফতারের পর সাতারা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ধৃতকে তোলা হলে আদালত ধৃতকে তিন দিনের ট্রানজিট রিমান্ডের অনুমতি দেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এরপরেই লুঠ হওয়া টাকা উদ্ধারের জন্য ধৃতকে বর্ধমানের নিয়ে আসা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ ফের তাঁকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতের দাবি, তিনি গাড়ি নিয়ে এসেছিলেন। তাঁর গাড়িতে থাকা অন্যান্য ৫ ব্যক্তি মিলে এটিএম কেটেছিলেন। তাঁকে কোনও টাকা দেয়নি। তাঁরা এটিএম থেকে টাকা পেয়েছিলেন কিনা তিনি জানেন না।






