দুই পুত্র ও স্বামীকে নিয়ে পরের জায়গায় ভাঙা ঘরেই দিন কাটান রায়নার উচালনের বাসিন্দা জলি বিষয়ী। সংসার টানতে মাধবডিহি থানার কাইতি এলাকায় চা বিক্রি করেন জলি, স্বামী এলাকার একটি রাইস মিলে কাজ করে। খুব কষ্ট করে ছেলেমেয়ের পড়াশোনার খরচ ও সংসার চালায় তাঁরা। কোনওদিন ভাবেন নি যে তাদেরও ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। ৩৫ টাকার লটারিই তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করে দেবে। আজ তারা কোটিপতি।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘জেলিফিশ’ দেখার কাজে ৪৮ হাজার টাকা বেতন! আকর্ষণীয় চাকরির সুযোগ, জানুন আবেদনের খুঁটিনাটি
জলি বিষয়ী জানিয়েছে, ১৯ তারিখ জলি পাশের লটারির দোকান থেকে ৩৫ টাকা দিয়ে লটারি টিকিট কাটেন, এরপর ২০ তারিখ মোবাইলে লটারি টিকিট মেলাতেই চক্ষু চরক গাছ। স্বামী টুলু বিষয়ীকে জানান লটারিতে এক কোটি টাকা জেতার কথা। স্বামী টুলু বিষয়ী জানান, “আমি প্রতিদিনই লটারির টিকিট কাটি, আমার স্ত্রী মাঝেমধ্যেই কাটত। কিন্তু তার টিকিটে কোটিপতি হব ভাবতে পারিনি। এখন স্বপ্ন পূরণ হবে, একটি জায়গা কিনে বাড়ি করব আর ছেলেদের ভাল করে পড়াশোনা করাব।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
চায়ের ধোঁয়া আর অভাবের দীর্ঘশ্বাস সঙ্গী ছিল প্রতিদিনের, কিন্তু চোখে ছিল ছেলেদের জন্য রঙিন ভবিষ্যতের স্বপ্ন। তাই ৩৫ টাকার সেই কাগজের টুকরোটি শুধু কোটি টাকা দেয়নি, দিয়েছে মাথা উঁচু সেই রঙিন স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার সুযোগ। ভাগ্যলক্ষ্মীর কৃপায় তাদের অন্ধকার ঘরে আজ রূপকথার মতো আলো জ্বালিয়ে দিয়েছে একটি লটারি টিকিট। যা দিয়ে তারা গড়ে তুলবে নিজেদের মাথা গোঁজার ঠাঁই আর ছেলেদের জন্য সুনিশ্চিত ভবিষ্যৎ।






