পরিবার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই পুজো বিগত কয়েকশো বছরের পুরনো পুজো। এই পুজো কতদিনের পুরনো তা নিয়ে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মত রয়েছে। তবে আসলে কত বছরের পুরনো এই পুজো তা সঠিক ভাবে বলা বেশ কঠিন। সেবাইতরা জানান, দুর্গাপুজোর ত্রয়োদশীর দিন থেকে প্রতিমা তৈরি শুরু হয়৷ তবে পুজোর আগের দিনেই শুধুমাত্র প্রতিমার গায়ে রঙ দেওয়া হয়। পুজোয় রয়েছে নানা বৈশিষ্ট্য। পুজোর দিন সকালে গ্রামের সধবা মহিলারা পান, সুপারি-সহ নানা উপকরণ দিয়ে পুজো দেন মা কালীকে। তারপরেই চলে সিঁদুর খেলা। তবে অমাবস্যা পড়ার পর থেকেই পুজো শুরু হলেও পুজো চলে বিসর্জনের দিন সকাল পর্যন্ত। শুধুমাত্র এই গ্রাম নয়, আশেপাশের আরও বেশ কিছু গ্রামের বাসিন্দারা উৎসবের মেজাজে মেতে ওঠেন এই পুজোকে ঘিরে।
advertisement
গ্রামবাসী সুকান্ত ব্যানার্জী বলেন, “আমরা গ্রামবাসীরা খুবই আনন্দ করি। আমাদের মা খুবই জাগ্রত। দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন আমাদের এই গ্রামে।” পুজোর পুরোহিতদের কাছে জানা গিয়েছে, বিসর্জনের দিন ঘটি কাড়াকাড়ি এই গ্রামের সবথেকে আকর্ষনীয় প্রথা। একটি পিতলের ঘটিতে তেল মাখিয়ে গ্রামের মানুষ কাড়াকাড়ি করেন। যিনি কেড়ে নিতে পারবেন ঘটি তাঁর। এই রীতি চলে আসছে বহু বছর ধরে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মা কালীকে গাড়ি অথবা কাঁধে করে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তাই বিসর্জনের দিন বাঁশ দিয়ে প্রতিমাকে টানতে টানতে মন্দির থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে পুকুরে বিসর্জন করা হয়। এই গ্রামে মা কালীর নিত্যসেবা হয়। তাই বিসর্জনের পরে মূল মন্দিরে আবার নিত্যপুজো হয়৷ নলাহাটির মা কালীকে নিয়ে ঘিরে অনেকের বহু বিশ্বাস রয়েছে৷ গ্রামবাসীদের মতে মাকে ডাকলে কাউকে খালি হাতে ফিরে যেতে হয় না।