ছোট থেকে বড় সকলেই এই পুজোকে কেন্দ্র করে আনন্দে মেতে ওঠেন। পুজোর সময় মন্দির চত্বর জুড়ে ভিড় জমান কয়েক হাজার মানুষ। প্রায় ৪০০ বছরের পুরানো এই পুজোর কীভাবে শুরু হয়েছিল তা নিয়ে বহু জনশ্রুতি রয়েছে। এই প্রসঙ্গে নির্দিষ্ট পুজো সমিতির কার্যকরী সভাপতি শ্যামল কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, ‘এক দেয়াসিন ছিলেন, তিনিই পুজো করতেন তাকে ক্ষেপি ক্ষেপি বলে ডাকা হত, তারপর থেকেই ক্ষেপিমা নাম প্রচলন হয়। ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন। প্রতিমা নিরঞ্জনের পর নিজের বাবা মা মারা গেলে যেরকম কষ্ট হয় ঠিক ততটাই আমাদের কষ্ট হয়। তবে সারাবছর এই পুজোর জন্যই আমরা অপেক্ষায় থাকি।’
advertisement
পুলিশ পাহারায় ব্যাঙ্কের লকার থেকে মা কালীর গয়না নিয়ে এসে পরানো হয়। গয়না পরানোর সময় মন্দিরের গর্ভগৃহে পুলিশ কর্মী ও পুজো উদ্যোক্তাদের নির্দিষ্ট কয়েকজন ছাড়া অন্য কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। এছাড়া পুজোর দিন থেকেই পুলিশ কর্মীরা মোতায়েন রাখা থাকে মন্দির চত্বরে। কাটোয়ার ক্ষেপি মায়ের অন্যতম আকর্ষণ হল তাঁর সোনার গয়না। ভক্তদের দান করা সোনার গয়না যখন মা কালীকে পরানো হয়, তখন সেই দৃশ্য দেখার জন্য মন্দিরে বহু মানুষ ভিড় জমান।
আরও পড়ুনঃ যেমন দেখতে-তেমনই নাম! বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ের নাম কে দিল জানেন? অদ্ভুত এই ইতিহাস শুনে চমকে উঠবেন
সোনার নেকলেস, সোনার জিভ-সহ মায়ের প্রায় পাঁচ কেজি সোনার গহনা রয়েছে। তবে শুধু সোনার গয়না নয়, বেশ কয়েক কেজি রুপোর গয়নাও পরানো হয় মা কে। পূর্ব বর্ধমান জেলা ছাড়াও পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ এমনকি কলকাতা থেকেও বহু মানুষ আসেন এই পুজো দেখার জন্য। কাটোয়া শহরের বাসিন্দা স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, “মা খুবই জাগ্রত, পুজোর সময় এখানে প্রচুর ভিড় হয়। আর আমাদের কাছে মা সত্যিই আবেগের।” ইতিমধ্যেই এবারেও জোর কদমে চলছে কালী পুজোর প্রস্তুতি। তৈরি করা হচ্ছে প্রতিমা। মন্দিরে প্রবেশ করার রাস্তায় বসানো হচ্ছে বড় বড় লাইটের গেট, টাঙানো হচ্ছে ঝাড়বাতি। এক কথায় কাটোয়ার ক্ষেপি মা-কে দেখার অপেক্ষায় সকলেই।