জামালপুরের শিয়ালি বাসস্ট্যান্ডের কাছ থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জানিয়েছেন, বাকি অভিযুক্তদেরও খুব তাড়াতাড়ি গ্রেফতার করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
advertisement
কিছুদিন আগেই পূর্ব বর্ধমানের রায়নার শুকুরের বাসিন্দা মৃগাঙ্ক সিং নামে এক ব্যক্তিকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এরপরেই ছেলেকে নিয়ে থানা অফিযোগ জানাতে যান মৃগাঙ্কের বাবা বাদল সিং। অভিযোগ, থানায় অভিযোগ জানিয়ে ফেরার পথেই এই বাবা-ছেলের উপরে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। চলে বেধড়ক মারধর। শেষে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি করে এলাকা থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
বর্তমানে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ছেলে মৃগাঙ্ক ও বাবা বাদলের চিকিৎসা চলছে। তণমূলের এলাকা দখলের লড়াইকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনা বলে জানা গিয়েছে।
গুলি চালানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে পঞ্চায়েত ভোটের আগে হঠাৎই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বর্ধমানের রায়না৷ আতঙ্কে এলাকার মানুষ৷ পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করেই এই ঝামেলা ছড়িয়েছে বলেই মনে করছেন সকলে৷
এমনিতেই নানা সময়ে রাজনৈতিক কারণে উত্তপ্ত থাকে বর্ধমানের এই নির্বাচনী কেন্দ্র৷ রাজনৈতিক সংঘর্ষ থেকে শুরু করে চাপা উত্তেজনা থাকে সব সময়েই৷ আর সামনেই রয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন৷ স্বাভাবিক কারণে তৃণমূল স্তরে এখন রাজনৈতিক উত্তেজনা রয়েছে৷ তার মধ্যে এই ঘটনা ঘটে যাওয়ার নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে৷
খবর পাওয়া গিয়েছে, অশান্তি শুরু হয়েছিল বুধবার দুপুরেই৷ সেই সময়েই মৃগাঙ্ক সিং-কে রাস্তা আটকে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা মারধর করে বলে অভিযোগ৷ তার পর তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন৷ সেই অভিযোগ দায়ের করার পর বাবার সঙ্গে ওষুধ আনতে যাচ্ছিলেন মৃগাঙ্ক৷ সেই সময়েই বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে ঘিরে ধরে তাঁদের৷ সেই সময়ে এঁদের গুলি করা হয়৷ মৃগাঙ্কর শরীরে একটি গুলি লাগে। দু’টি গুলি লাগে মৃগাঙ্কর বাবা বাদল সিংয়ের শরীরে৷ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়৷