১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের এই বিদ্যালয়। জুলাই মাসের ১ তারিখ ছিল বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস। প্রধান শিক্ষক জানান, তিনি ছাত্রদের সামনে স্কুলের জন্মদিনের কথা বলতেই তারা কেক কাটার ও অনুষ্ঠান করার ইচ্ছা প্রকাশ করে। তাদের ইচ্ছেকে মর্যাদা দিয়েই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কেক কেটে শুরু হয় জন্মদিন উদযাপন। এরপর ছোটদের পরিবেশনায় একের পর এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মাতিয়ে তোলে স্কুল চত্বর।
advertisement
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য বলেন, “পড়ুয়াদের আবদার ফেলতে পারিনি। সকলকে সঙ্গে নিয়েই জন্মদিন উদযাপন করা হয়। মানুষের হলে বিদ্যালয়ের কেন হবেনা?” পড়ুয়াদের আনন্দের কথা ভেবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে বিশেষ মেনুর ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। মিষ্টি, মাংস সহ নানা পদে সাজান হয়েছিল মধ্যাহ্নভোজ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এটি শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়, ছিল আবেগ ও ভালবাসার মেলবন্ধন। পড়ুয়াদের সরল ইচ্ছেকে মর্যাদা দিয়ে স্কুলের জন্মদিন পালনের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয় বলে মনে করছেন অভিভাবকরাও। বিদ্যালয় শুধু পড়াশোনার জায়গা নয়, এখানে গড়ে ওঠে স্মৃতির ভাণ্ডারও, আর এই জন্মদিন উদযাপন সেই বন্ধনেরই প্রতিচ্ছবি।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী