রাজ্যজুড়ে সাড়া ফেলেছে মুখ্যমন্ত্রী ‘দিদিকে বলো’ উদ্যোগ। যেখানে এক ফোনে আপনি আপনার যে কোনও সমস্যার কথা জানাতে পারবেন সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে। এবার সেই পথের অনুকরণ করলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস। শুরু করলেন ‘এক ফোনে খোকন’। যেখানে হেল্পলাইন নম্বরে আপনি ফোন করলেই সরাসরি আপনার এলাকার যে কোনও সমস্যা বা অভিযোগ জানাতে পারবেন বিধায়ককে। ইতিমধ্যেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় হোডিং টাঙানো হয়েছে এবং সেখানেই লেখা রয়েছে হেল্পলাইন নম্বর।
advertisement
আরও পড়ুন: হারিয়ে যাওয়া ভাদু গান! রাঢ় বাংলার ঐতিহ্যবাহী উৎসবে মাতলেন মুর্শিদাবাদের শিল্পীরা, দেখুন
পূর্ব বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের উদ্যোগে প্রায় দুই বছর আগে ১০ টাকার বিনিময়ে কঙ্কালেশ্বরী কালী মন্দিরের দুপুরে খাবার দেওয়া শুরু হয়েছিল। সেই প্রকল্প সফলভাবে চলছে। জানা গিয়েছে, গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৪০০-৫০০ মানুষ এই খাবার খান। শনিবার এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৭০০ এবং রবিবারে তা পৌঁছয় ১৪০০তে। সম্প্রতি কাঞ্চননগরের এই কঙ্কালেশ্বরী কালীমন্দির প্রাঙ্গণে চালু করছেন বিনামূল্যে রাতেও খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা। যেখানে বিনামূল্যে রাতে ৮টা থেকে ১০-১১ টা পর্যন্ত খেতে পারবেন প্রত্যেকে।রাতে বিনামূল্যে খাবার দেওয়ার পাশাপাশি যেসব মানুষ বার্ধক্য জনিত কারণে বা অসুস্থতার কারণে খেতে আসতে পারবেন না তাদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা চালু করেছেন। এলাকার কাউন্সিলরদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যার কথা জানিয়ে ঠিকানা ও ফোন নম্বর জমা দিলেই বিনামূল্যে তাদের বাড়ি বাড়ি দু-বেলা পৌঁছে দেওয়া হবে খাবার।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এবার শুরু হল নয়া প্রকল্প, ‘এক ফোনে খোকন’। সুখে-দুঃখে যেকোনও সমস্যাতেই হেল্পলাইন নম্বর 8170999159-এ ফোন করলে মিলবে সমাধান। বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস জানান, “এই হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে শহরের বাসিন্দারা তাদের অভাব, অভিযোগ, সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। ফোন ধরার জন্য সর্বক্ষণের কর্মী নিযুক্ত করা হয়েছে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রতিটি সমস্যা দ্রুততার সঙ্গে মেটানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় আমার এই উদ্যোগ। মিটিং-সহ নানা কর্মসূচির কারণে অনেক সময় আমার পক্ষে সব ফোন ধরা সম্ভব হয় না। এই নির্দিষ্ট নম্বর শুধু মানুষের সমস্যা শোনা ও তা সমাধানের জন্যই থাকবে। আমি নিজে ফোন ধরব। আমি ব্যস্ত থাকলে আমার কর্মীরা ফোন ধরে সব কথা নথিভুক্ত করবে। আমি পরে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে নেব। যতটা সম্ভব সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করব।”