মধ্যপ্রদেশের ব্যান্ড, কেরলের বিশেষ বাজনা এমনকি অঘোরী নাচও দেখা যায় শোভাযাত্রায়। এছাড়াও মহিলাদের নিত্যনতুন বিভিন্ন নাচের দলও ছিল। শহরজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রায় প্রত্যেকটা ক্লাবই আকর্ষণীয় ভাবে তাঁদের শোভাযাত্রা সাজিয়ে তুলেছিলেন। এছাড়া বিশালাকার আলোকসজ্জা এই রাসের শোভাযাত্রায় এক অন্য মাত্রা যোগ করেছিল। পুরো শোভাযাত্রা জুড়েই যেন ছিল একেবারে আকর্ষণীয় সব আলোকসজ্জা। দাঁইহাট শহরবাসী ছাড়াও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে আসা মানুষও সবটা উৎসাহের সঙ্গেই উপভোগ করছিলেন। রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
advertisement
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, শোভাযাত্রায় মোতায়েন করা হয়েছিল এসআই ও ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার ১০৭জন আধিকারিককে। দু’জন পুলিশ সুপার ও কাটোয়া মহকুমার পুলিশ আধিকারিক-সহ ছয় জন ডিএসপি পদমর্যাদার অধিকারিক ছিলেন। এছাড়াও ৩৩৬ জন পুলিশ কর্মী ও ৪১৮ জন সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছিল। এছাড়াও জানা গিয়েছে, মোট ৩.৮ কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে শোভাযাত্রা ঘুরেছে এবং এই রুটে মোট ১৮টি সিসি ক্যামেরা ছিল। শোভাযাত্রার জন্য অতিরিক্ত ১৫টি সিসি ক্যামেরাও লাগানো হয়েছিল।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য কন্ট্রোলরুম চালু করা হয়েছিল। সবমিলিয়ে শুক্রবার ভোরে সম্পন্ন হল এবছরের দাঁইহাট রাস উৎসবের শোভাযাত্রা। তবে শহরবাসী, দর্শনার্থী এবং কিছু ক্লাব এই শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে প্রসাশনের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। অভিযোগ শহরবাসী এবং দর্শনার্থীদের একাংশ ঠিকঠাক ভাবে দেখতে পায়নি শোভাযাত্রা। এছাড়া মানুষের ভিড়ে নাজেহাল হতে হয়েছে বহু জনকেই। তাই সকলেই আগামী বছরে রাস উৎসব যেন সুষ্ঠ ভাবে সম্পূর্ণ হয় তার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছেন।





