নিজের বাইককে সঙ্গী করে পৌঁছে যান বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকায়। বর্ধমান থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে পাড়ুই গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় ঘোষ। আর্থিক সমস্যার কারণে তার কলেজে পড়াটা হয়ে উঠেছিল কষ্টসাধ্য। কিন্তু তার মধ্যে ছিল অদম্য জেদ ও ইচ্ছা শক্তি। তাই ঠিক করেন নিজের কাজ করেই চালাবেন পড়াশোনা। গ্রাম ছেড়ে বর্ধমান শহরে এসে করেছিলেন বেশ কিছু কাজ। কিন্তু কোনওটাতেই তার মন বসছিল না। তারপরই তার মাথায় আসে দুধ থেকে কিছু করার। কারণ তাদের পারিবারিক ব্যবসা দুধ থেকে ছানা তৈরি করে মিষ্টির দোকানে সরবরাহ করা। এরপরই শুরু করেন পনির বিক্রি। প্রথম দিকে যাত্রা পথ খুব একটা মসৃণ না হলেও, হাল ছাড়েননি তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন : কৃষকদের খরচ কমে অর্ধেক, ধান কাটা জমিতে চাষ না দিয়েই সরষে রোপন! কৃষি দফতরের মেশিনে কামাল
ধীরে ধীরে বাড়িয়ে তুলেছেন ব্যবসা। আর এই উপার্জন থেকেই চালিয়েছেন নিজের পড়াশোনা। বর্তমানে তিনি একা নন, আরও প্রায় ২০-২২ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। প্রায় ২৬ বছর ধরে ভোর ৩.৩০-এ উঠে শুরু হয় পনির, রাবরি, রসগোল্লা সহ প্রায় কুড়ি রকমের দুগ্ধজাত পণ্য তৈরির কাজ। বেলা ৮ টায় বাইক নিয়ে বেড়িয়ে পরেন বর্ধমান শহরের উদ্দেশ্যে। বাইক নিয়ে ছুটে চলেন একপ্রান্ত থেকে আর একপ্রান্ত। এক ফোনে পৌঁছে যান বিভিন্ন মানুষের বাড়ির দুয়ারে। রাত প্রায় দশটা পর্যন্ত চলে এই কাজ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্তমানে একটি দোকানও করেছেন তিনি। ছানা থেকেই শুরু। তাই তার দোকানের নাম ছানার পাঁচালী। এই নাম ব্যবহার করে একটি ব্র্যান্ড করতে চান তিনি। সঞ্জয় বাবু জানান, একটা সময় কি করবেন, সেটা নিয়ে খুব ভেঙে পরেছিলেন। তখন অমল ও দইওয়ালার কথা মাথায় আসে। শুরু করেন মিষ্টি ও পনির বিক্রির কাজ। বর্ধমান শহরের নানান প্রান্তে গিয়ে পনির বিক্রি শুরু করেন। আস্তে আস্তে মানুষের সঙ্গে বেড়েছে পরিচিতি। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে খাবারের স্বাদ-গুণগত বাড়িয়ে তুলেছেন। এখন প্রতিদিন প্রায় কুড়ি রকমের জিনিস নিয়ে পৌঁছে যান শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।





