পূর্ব বর্ধমানের সদর ২ ব্লকের পূর্বচক্রের বড়শুল নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়। বিদ্যালয় জুড়ে বাস্তবসম্মত পরিবেশ শিক্ষার ছোঁয়া। বিদ্যালয় চত্বরজুড়ে কয়েক বিঘা জমিতে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন শিক্ষা-সহায়ক প্রকল্প। এখানে শেখাটা শুধু ক্লাসরুমের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। স্কুলের গেট পেরোলেই শুরু হয় এক অন্য জগৎ। স্কুলের ভিতরেই গড়ে উঠেছে কৃত্রিম পাহাড়, পর্বতমালা ,নদীর উৎপত্তি, অশ্বখূড়াকৃতি হ্রদ, চাষ পদ্ধতি, বিনোদন পার্ক। এছাড়াও স্কুলের প্রবেশ পথে পথ নিরাপত্তার পাঠের জন্য রয়েছে সিগনাল লাইট, জ্রেবরা ক্রসিং, পরিবেশ সচেতনতায় গড়ে তোলা হয়েছে টিএলএম উদ্যান। এমনকি গণিত এখানে কঠিন নয়, খেলারছলে গণিতেরও প্রাথমিক পাঠ দেওয়া হয় এখানে।
advertisement
আরও পড়ুন: দিন দিন বাড়ছে কাজের টার্গেট, বেতন বাড়ানোর বেলায় লবডঙ্কা! সহ্যের সীমা পার হতেই বিক্ষোভে শ্রমিকরা
পূর্ব বর্ধমানের এই স্কুলের ভিতরেই রয়েছে গাছবাড়ি, গ্যালারি সহ খেলা মাঠ, ৬০ ফুট চওড়া , ১০০ফুট লম্বা সেড সহ মঞ্চ, স্মার্ট ক্লাস, পরিশ্রুত পানীয় জল, সোলার সাবমার্সাবেল। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে যেখানে অনেক সরকারি বিদ্যালয়েই কমছে পড়ুয়া সংখ্যা সেখানে বড়শুল নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে বর্তমান প্রায় সাড়ে ৪৫০ জনেরও বেশি ছাত্রছাত্রী রয়েছে। যারা বইয়ের পুঁজিগত বিদ্যার পাশাপাশি বাস্তবে হাতে কলমে শিখছে নানা পাঠ। ইতিমধ্যেই রাজ্য ও জেলা থেকে বিভিন্ন পুরস্কার, সম্মানে ভূষিত হয়েছে এই স্কুল। যেমন ২০১২ সালে রাজ্যের অন্যতম সেরা সম্মান শিশুমিত্র পুরস্কার, নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার। এছাড়াও পেয়েছে জেলা পর্যায়ে নানা পুরস্কার।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শুধুমাত্র শিশুদের অভিনব পদ্ধতিতে শিক্ষার নজিরই নয় পরিবেশ সচেতনতারও ক্ষেত্রেও এক অনন্য নজির এই বিদ্যালয়। বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে গ্রীষ্মের দাবদাহে পশুপাখিদের জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে রয়েছে ফুলগাছ, বাহারীগাছের টব সহ কয়েকশ গাছ। যা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে পরিবেশ সচেতনতার এক অন্যন্য নজির। বড়শুল নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয় প্রমাণ করে যে, সঠিক পরিকাঠামো, উদ্ভাবনী পদ্ধতি এবং শিক্ষকের আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকলে একটি স্কুল হয়ে উঠতে পারে শিশুদের কাছে দ্বিতীয় বাড়ি। শিক্ষা শুধু বইয়ের পাতায় নয়, তা ছড়িয়ে থাকে প্রকৃতির মাঝে এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে।