শুধু বর্ধমান শহরেই বৈধ টোটোর সংখ্যা সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি। প্রশাসনের অনুমতি বিহীন আরও পাঁচ হাজার টোটো চলাচল করে এই শহরে। কয়েক হাজার টোটো চলে শুধু বর্ধমান রেল স্টেশনকে কেন্দ্র করেই। বেশ কয়েক হাজার যুবকের কর্মসংস্থান এই টোটো চলাচলের উপর নির্ভরশীল। লকডাউনের দিন থেকেই বর্ধমান শহরে বন্ধ টোটো চলাচল। কাজ হারিয়েছেন টোটো চালকরা। উপার্জন বন্ধ। অনেকেই ঋণ নিয়ে টোটো কিনেছিলেন। সংসারে সংকটের সঙ্গে মাথার উপর ঋনের বোঝা। তাই আর তর সইছে না টোটো চালকদের। খুব তাড়াতাড়ি টোটো নিয়ে আবার রাস্তায় বেরোনো যাবে এমন ছবিটাই দেখতে চাইছেন তাঁরা।
advertisement
চালকরা বলছেন, দীর্ঘদিন ঘরে পড়ে থেকে অনেক টোটোই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অনেক টোটোর ব্যাটারি বসে গিয়েছে। রাস্তায় নামার আগে তাই তা চলাচলের উপযোগী করতে মোটা টাকা খরচ করতে হবে। তবে টোটো চলাচল শুরু হলেই যে সব আগের মতো স্বাভাবিক থাকবে তা মনে করছেন না অনেকেই। তারা বলছেন, বাস ট্রেন চলাচল শুরু না হলে যাত্রী মিলবে না। তাই সব কিছু স্বাভাবিক হতে আরও বেশ কিছুদিন লাগবে বলেই মনে করছেন তারা। এক চালক বললেন, আগের মত ৫-৬ জন যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করা যাবে না। এক্ষেত্রেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হবে। সেক্ষেত্রে হয়তো একটি টোটোতে বড় জোর দুই তিন জনের বেশি যাত্রী উঠতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে দশ টাকা ভাড়ায় তাদের নিয়ে যাতায়াত করা কতটা সম্ভব হবে সেটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে।
Saradindu Ghosh
