এই জটিল পরিস্থিতির মোকাবিলায় আজ বিকেল পাঁচটায় নবান্ন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জরুরি বৈঠক ডাকলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। বৈঠকে সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের ভার্চুয়ালি হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।সেইসঙ্গে থাকবেন সেচ, বিপর্যয় মোকাবিলা, জনস্বাস্থ্য, নগরোন্নয়ন, কৃষি ও পরিবহণ সহ একাধিক দফতরের সচিবরা।
বর্ষায় ঘরে-বাইরে কিলবিল করছে সাপ? দরজার সামনে ছিটিয়ে দিন এই ‘গুঁড়ো’! সুরক্ষিত থাকবে পরিবার ও সন্তান!
advertisement
নবান্ন সূত্রে খবর, প্রত্যেক জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে জানানো হবে ডিভিসি’র জল ছাড়ার পর কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, কোন কোন ব্লকে জল ঢুকেছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কতটা এবং কী ভাবে দ্রুত পুনর্বাসনের কাজ শুরু করা যায়। জেলা থেকে পাঠানো রিপোর্ট খতিয়ে দেখে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে বলে সূত্রের দাবি।
প্রশাসনের তরফে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে—জলস্তর যদি আরও বাড়ে, তাহলে অবিলম্বে উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করতে হবে। প্রয়োজনে NDRF বা SDRF-এর সাহায্যও নেওয়া হতে পারে।
স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে, যাতে প্লাবিত এলাকাগুলিতে খাদ্য, জল ও ওষুধ পৌঁছতে কোনও সমস্যা না হয়। বহু এলাকায় অস্থায়ী ত্রাণ শিবির খোলার কাজও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর প্রতিনিয়ত ডিভিসি ও আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে, যাতে আগাম বার্তা পাওয়া যায় এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যায়। প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “বর্তমানে আমাদের মূল লক্ষ্য হলো দ্রুত উদ্ধার, ত্রাণ ও ভবিষ্যতের জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি। যদি প্রয়োজনে আরও জল ছাড়ে ডিভিসি, তাহলে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।”