এছাড়াও বিষ্ণু মন্দির-সহ একাধিক মন্দির সেখানে রয়েছে ভগ্নদশায়। প্রকৃতির সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ মনোমুগ্ধকর স্থানটি সিনেমার পরিচালকদের দৃষ্টি আর্কষণ করে এখনও। ওই স্থানে বাংলা সিনেমা জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক, সন্ধ্যা রায়, চিরঞ্জিত, জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, তরুণ কুমারের মত বিশিষ্ট অভিনেতা অভিনেত্রীরা এসেছিলেন। বহু বিখ্যাত সিনেমার শুটিং হয়েছে এই মন্দির চত্বরে। ওই স্থানটি গড়ে তোলেন তান্ত্রিক আচার্য মহেশ্বরপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের পরবর্তীকালে মহেশ্বর প্রসাদের বংশধর রায়বাহাদুর খেতাব পান। তারপর থেকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলে ‘রায়’ পদবি হয় আচার্যের বংশধরদের। তাঁরা কালী মন্দির ও শিব মন্দির-সহ ওই সমস্ত মন্দির গুলি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। টেরাকোটার তিনটি শিব মন্দির মহেশ্বর প্রসাদের এক বংশধর লক্ষ্মীকান্ত রায় প্রায় ৩০০ বছর আগে তৈরি করেছিলেন।
advertisement
ওই ঐতিহ্যবাহী এলাকাটি বর্তমানে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলা-সহ রাজ্যের বহু প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের প্রায়ই আনাগোনা রয়েছে। এছাড়াও ভক্তদেরও আনাগোনা লেগেই থাকে। রায় পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের ষষ্ঠতম বর্তমান প্রজন্মের প্রবীণ সদস্য অনিল রায়ও দু’একটি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন। বিখ্যাত বাংলা সিনেমা ‘খেলার পুতুল’ চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেছিলেন। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত অভিনীত আলো সিনেমায় এই স্থানটির একাধিক দৃশ্য দেখা যায়।এছাড়াও খেলার পুতুল সিনেমাতেও বেশ কিছু দৃশ্যে রায় পরিবারের এই মন্দির চত্বরের দেখা মেলে।
আরও পড়ুন: তাঁতঘরের ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে! পুজোর বাহারি পোশাক তৈরি হচ্ছে লালমাটির গ্রামের ঘরে ঘরে
এছাড়াও সুপারহিট সিনেমা হীরক জয়ন্তী, শ্রীমান পৃথ্বীরাজ-এর মতো একাধিক বিখ্যাত সিনেমার শ্যুটিং হয়েছিল ওই স্থানে। পাশাপাশি কয়েক বছর আগে ” মায়ামৃদঙ্গ” সিনেমার শ্যুটিং করতে ওই স্থানটি বেছে নেন পরিচালক। ওই সিনেমায় অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী পাওলি দাম। উইকএন্ডে অথবা ছুটির দিনে আপনিও ঘুরতে আসতে পারেন কাঁকসার বনকাটি এলাকার এই মন্দির নগরীতে।